যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও গাজায় হামলা চালাবে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলো। সোমবার (২৫ মার্চ) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। এরপরই গাজায় গত প্রায় ছয় মাস ধরে চলে আসা ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আশা করা হচ্ছে।
তবে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও গাজায় হামলা বন্ধ করবে না তারা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে কাটজ তার অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি করবে না। আমরা হামাসকে ধ্বংস করব এবং সমস্ত বন্দিদের ঘরে ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।
জানা গেছে, সোমবার প্রস্তাবটি পরিষদের বৈঠকে ভোটের জন্য তোলার পর মোট ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল। তবে প্রস্তাবটির বিপক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপন করেনি দেশটি।
এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যত প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে প্রায় প্রত্যেকটিতেই ভেটো দিয়েছে ইসরায়েলের সবচেয়ে পুরনো ও পরীক্ষিত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান দাবি করেছেন, জাতিসংঘের এই প্রস্তাব গাজা থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি ‘নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে’।
আনাদোলু বলছে, জাতিসংঘের এই রেজোলিউশনে পবিত্র রমজান মাসের জন্য সকল পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। যা পরে একটি স্থায়ী টেকসই যুদ্ধবিরতির দিকে পরিচালিত হবে।
এই প্রস্তাবে সমস্ত বন্দির অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা এবং অন্যান্য মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করার দাবিও করা হয়েছে।