২১ বিয়ে করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মরু মিয়া!
ডেস্ক নিউজ:
নওগাঁর মান্দায় ২১টি বিয়ে করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মরু মিয়া নামে এক যুবক। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১১ নম্বর কালিকাপুর ইউপির চক-কলিকাপুর গ্রামের মৃত পিয়ার আলী ওরফে দুখু মিয়ার ছেলে।
বিগত ১০ বছরে এখন পর্যন্ত ২১টি বিয়ে করেছেন তিনি। তারা হলেন সহিদা, নার্গিস, আলেয়া,তারা, সেলিনা, নসিমন, করিমন, জোসনা, রাবেয়া, মৌসুমী, কাজলী, শিরিনা, বিউটি, মতিজান, সাবিনা, আদরী, বিলকিস, জামিলা,আশেদা,খালেদা ও পারুল।
স্থানীয়রা জানান, মরু মিয়ার বাবা ধানের চাতালে কাজ করতেন। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই তিনি চাতালে বেড়ে উঠেন। এরপর মরু মিয়া বড় হলে তিনিও যোগ দেন সেই পেশায়। সেই কাজের ফাঁকে প্রায় দশ বছর আগে পরিবারের পছন্দে প্রথম বিয়ে করেন মরু মিয়া। এরপর নানা ঘটনায় একের পর এক বিয়ে করতে থাকেন তিনি। প্রতিবার বাড়ি আসার সময় বউ পরিবর্তন করে আসতেন। এলাকাবাসী সেসব নারীদের পরিচয় জানতে চাইলে নতুন বিয়ে করা স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করে দিতেন। তার এমন ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে।
স্থানীয় মহসিন আলী বলেন, মরু প্রথমে তার বাবার ইচ্ছায় প্রথম বিয়ে করেন। এরপর স্ত্রী রেখে ধানের চাতালে চলে যান। এরপর বাড়ি আসলেই একটি করে মেয়ে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসা করলে বলেন স্ত্রী হয়। তবে মেয়ে গুলোকে দেখলে মনে হয় মরুর মায়ের চেয়ে বয়স বেশি। তবে বর্তমানে মরু বিভিন্ন হাট-বাজারে সাহায্য চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করায় তাকে সরকারিভাবে সহায়তার দাবি জানান তিনি।
মরু মিয়া বলেন, কোনো ওষুধ বা বশ করে নয়, তাকে দেখলেই বিয়ের জন্য পাগল হয়ে যেতেন নারীরা। কোন নারী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে মন খারাপ করবেন ভেবে না বলতেন না। এরপর চলতি পথেই কোন মৌলভীকে ৫০০ টাকা দিয়ে বিয়ে পড়ে নিতাম। কিছুদিন সংসার করার পর যেখানে বিয়ে সেখান থেকেই বাদ দিয়ে দিতাম। কোন কাবিননামা না থাকায় কোন স্ত্রী আইনি প্রক্রিযায় যেতে পারে না বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ২১টি বিয়ে করেছি। সর্বশেষ বিয়ে করেছি ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর এক নারীকে। বর্তমানে তার সঙ্গে তিনটি বউ থাকলেও বাকি বউয়েরা কোথায় আছেন জানেন না তিনি।
অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বলেন, একাধিক বিয়ে করা যায় কিন্তু সেটার জন্য দেশে আইন আছে ও সামর্থ অনুযায়ী। এগুলো সমাজের খুবই খারাপ এবং এলাকাবাসীর জন্য ক্ষতিকর।