সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পেশকারের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ
রঘুনাথ খাঁ : মাছের ঘেরের মাটি বহনে অসুবিধা সৃষ্টিকারি সাতক্ষীরা সদরের বালিয়াডাঙা গ্রামের মাঠপাড়ায় শনিবার সকালে সরকারি রাস্তার পাশের বট গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে জজ কোর্ট পেশকার মো: মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।মোঃ মহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের হাজী আব্দুল গফুরের ছেলে।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম ও মহিবুল্লাহ গাজীসহ কয়েকজন জানান, বালিয়াডাঙা মাঠপাড়ায় নিজের ঘেরের মাছ বিক্রির পর মাটিও বিক্রি করেন পেশকার মহিদুল। কিন্তু মাঠপাড়া সরকারি রাস্তা সংলগ্ন একটি বিশাল আকৃতির বট গাছ মাটি বহরকাজে ব্যবহৃত ডাম্পার যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একারণে মহিদুল ইসলাম তার বাবা আব্দুল গফুর ও একই গ্রামের আব্দসি সাত্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে গত ২০মার্চ নুর ইসলামের সঙ্গে ১১ হাজার টাকায় ওই বটগাছ বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। গত শনিবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে মহিদুল ইসলাম গাছ ক্রেতা নূর ইসলামের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা বুঝে নেন। এরপরপরই নুর ইসলাম তার ৭/৮ জন শ্রমিক গাছটি কাটতে যান। স্থানীয় জনগণ গাছটি কাটতে বাঁধা দেয়। পরে মহিদুল ইসলাম এসে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। মহিদুল সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে পঞ্জেগানা মসজিদে গাছ বিক্রির টাকা ব্যবহার হবে বলেও জানান।নুর ইসলামের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী মহিদুল ওইদিন বেলা ১০টা ২৬মিনিটে ১১হাজার টাকা বুঝে নেয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যবসায়ী নুর ইসলাম তড়িঘড়ি করে গাছটি কেটে ফেলে জালানি কাঠ কদমতলা হাসেমের করাত মিলে বিক্রি করে দেন।এ ব্যাপারে মহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,গাছটি রাস্তার উপর হওয়ায় বিক্রি করে দিয়েছেন। বিক্রি করে পাওয়া টাকা পঞ্জগানার উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। সরকারি গাছ তার বিক্রি করার অধিকার রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব কিছু অনুমতি নিয়ে করতে গেলে সমস্যা হয়ে যায়।
আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: ইদ্রিস আলী বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টা তিনি শুনেছেন। খোঁজ নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।