পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর ওপর অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সোয়েল সানা (২৭)।সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে স্ত্রী রুপা খাতুন বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আত্মহননকারী সোয়েলে সানা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝুটিতলা এলাকার মহাসিন সানার ছেলে।
রূপা খাতুনের মা মজ্ঞুয়ারা বেগম জানান, ৫বছর আগে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কুটিঘাটা গ্রামের মহাসিন সানার ছেলে সোয়েলের সাথে মেয়ে রুপা খাতুনের বিয়ে হয়।বর্তমানে তাদের ঘরে তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার মেয়ে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে চতুর্থ বর্ষে বি এ অনার্স পড়ত এবং জামাই বাড়ির পাশাপাশি একটি কমিউটারের দোকান খুলে অনলাইনে কাজ করার জন্য তারা সাতক্ষীরা শহরে ঝুটিতলা এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকত। বছর খানেক আগে মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।এই থেকে সে চিকিৎসাধীন ছিল। সোমবার দুপুরে তিনি স্থানীয়দের মুঠোফোনে জানতে পারে তার মেয়ে জামাতা আত্মহত্যা করেছে। পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এসে দেখতে মেয়ে অজ্ঞান অবস্তায় হাসপাতালে শুয়ে তার জামাতার লাশ মর্গে । কোনকিছু বুঝে ওঠার আগে জামাতার লাশ ও শিশুপুত্রকে স্বজনরা নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।
নাম না জানানোর শর্তে ঝুটিতলা এলাকার একজন জানান, সকাল ১০টার দিকে স্বামী স্ত্রী মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।ওই সময় স্ত্রী প্রথমে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্বামী অভিমানে আত্মহত্যা করে।পরে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তরত চিকিৎসক স্বামী সোয়েলকে মৃত ঘোষনা করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মারুফ আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রোগীর স্বজনরা নিয়ে সোয়েলেকে মৃত অবস্তায় আসে।ওই মুর্মর্ষ অবস্তায় স্ত্রী রুপা খাতুনকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।ময়ন্তাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।