শার্শায় বঙ্গবন্ধু’র ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস পালন
বেনাপোল প্রতিনিধি:
যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্ম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে শার্শা উপজেলা প্রশাসন,শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ,বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ,বেনাপোল পৌরসভা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অত্র উপজেলার সকল সরকারী-বেসরকারী অফিস সমূহ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনবো হাসি সবার ঘরে ঘরে”। এবারের এমন প্রতিপাদ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রবিবার(১৭ মার্চ) সকালে শার্শা উপজেলা প্রশাসন,শার্শা উপজেলা আ.লীগ,বেনাপোল পৌর আ.লীগ, বেনাপোল পৌরসভা কার্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রাঙ্গণে নির্মিত জাতির পিতার ম্যুরালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
এতে শার্শা প্রশাসনের পক্ষে অংশ নেন-মোঃ সিরাজুল হক মঞ্জু(চেয়ারম্যান,শার্শা উপজেলা পরিষদ ও সভাপতি,শার্শা উপজেলা আ.লীগ),মেয়র মোঃ নাসির উদ্দিন(বেনাপোল পৌরসভা), উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী,শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান,বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুমন ভক্ত সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন অফিস সমূহের কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও স্কুল,কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শার্শা এবং বেনাপোল আওয়ামীলীগ এর পক্ষে অংশ নেন- মোঃ সিরাজুল হক মঞ্জু(সভাপতি,শার্শা উপজেলা আ.লীগ),মোঃ ইব্রাহীম খলিল(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,শার্শা উপজেলা আ.লীগ ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী),মোঃ এনামুল হক(সভাপতি,বেনাপোল পৌর আ.লীগ),পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান-আব্দুল গফ্ফার সরদার, ৮৫ যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি’র পিএ-আসাদুজ্জামান আসাদ সহ আ.লীগ নেতৃবৃন্দ,মেয়র,মোঃ নাসির উদ্দিন(সাধারণ সম্পাদক,বেনাপোল পৌর আ.লীগ) সহ আ.লীগ নেতৃবৃন্দ।
বেনাপোল পৌরসভা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান-মেয়র,মোঃ নাসির উদ্দিন,মোঃ সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস(সচিব), পৌর কর্মকর্তা-বিএম রনি,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকীতে এবারের প্রতিপাদ্যের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তার সংক্ষিপ্ত জীবণী তুলে ধরে শার্শা উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন- “শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়”।
“কিন্তুু দেশ স্বাধীনের পর ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়,ঐ দিনে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যকে। প্রাণে বেচে যান বিদেশে থাকা আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা। কিছু দুঃস্কৃতিকারী,বিপথগামী সেনা সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়।
বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই সত্যি,কিন্ত তারই অবয়বা হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু’র চিন্তাধারাকে নির্দেশনা হিসেবে কাজে লাগিয়ে দেশ আজ উন্নয়ণের কাতারে যাত্রা শুরু করেছে। আগামীদিনে এমন করে দেশ আরও অনেক দুর এগিয়ে যাক, বঙ্গবন্ধু’র ১০৪ তম জন্মবার্ষিকীতে এই হউক আমাদের প্রত্যাশা”।
দিনব্যাপি শিশু-কিশোর দের নিয়ে খেলাধূলা,চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা সহ নানা কর্মসূচিতে সাজিয়েছে শার্শা উপজেলা প্রশাসন।