আদালতের আদেশ বাতিল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :সাতক্ষীরা সদরের থানাঘাটার পীরত্ব সম্পত্তি কাজী তাহের গং উৎকোচের বিনিময়ে রতন পেশকারের মাধ্যমে আদালতের পূর্বের আদেশ বাতিল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংব সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন থানাঘাটা গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ এর ছেলে শেখ ফারুক হোসেন (খাদেম)।
তিনি বলেন সাতক্ষীরার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের পীর কুতুবউদ্দীন আরব, পীর শাহবুদ্দিন আরব ও আলীসাহা ওরফে মিয়া সাহেবের দরগা শরীফের সম্পত্তি পীরের নামে ফেরত পেতে আমি একই এলাকার কাজী আবুল হোসেনের পুত্র কাজী আবু তাহের গংয়ের বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলা দায়ের করি। মামলাটি হাইকোর্টে ডিবিশন ঢাকা সিভিল রিভিশন ২১০/২০১৭ ও বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, সাতক্ষীরা আদালতে ৩৩৪২/২০২১ বিচারাধীন আছে। পীর আলী সাহার নামে ডিএস রেকর্ড মাগুরা গোপীনাথপুর জেল নং-৯০, খতিয়ান নং-১৫৭৪ নিস্কর রেকর্ডে রায়তী নেই। কাজী মো: রুহুল কুদ্দুস পীরের খাদেম হিসেবে মধ্যস্বত্ব অধিকারী। এস এ খতিয়ান জেএল-৯০, ১৪৮২ খতিয়ান পীর আলী সাহার নামে নিস্কর রায়তী নেই। রুহুল কুদ্দুসের পুত্র কাজী আবু ওমর ও কাজী আবুল হোসেন, পীর আলী সাহার নাম বাদ দিয়ে নিজেদের নামে ৯০ এর মাঠ জরিপ রেকর্ড করিয়ে নেয়। ২০১৬ সালের ২২ মে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করলে তিনি তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট প্রেরণ করলে তিনি তদন্ত করে পীরত্ব সম্পত্তি বলে প্রতিবেদন দেন। এরপর সাতক্ষীরার রাজস্ব শাখা হতে তৎকালিন ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর নূর মোহাম্মদ মাসুম ১৮ মে‘১৬ ইং তারিখে দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে থানাঘাটায় স্থাপিত পীর মিয়া সাহেবের দরগা এর সম্পত্তি রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতের আশ্রয় গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে প্রতিবেদন দেন। ১০ আগস্ট‘২২ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার উদ্দীন খাজনা নামজারি না করতে পারে সে জন্য নায়েবকে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। প্রতিবেদনটি গোপন করে কাজী আবু তাহেরগং খাজনা দাখিলা করে নেয়। আমি জানতে পেরে নায়েব কামরুল ইসলামকে অবহিত করলে নায়েব ২৬ জুন‘২০২৩ তারিখে পৌর ভূমি অফিসে মামলা গোপন করে খাজনা নামজারি করে। পরে ১৫০ ধারা মোতাবেক খারিজ হবে মর্মে একটি আবেদন প্রেরণ করেন সহকারী কমিশনার ভূমি সদর। ২৭ নভেম্বর‘২০২৩ তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি সদর সুমনা আয়রিন কেসভূক্ত সম্পত্তিতে কোনরূম কার্যক্রম গ্রহন করা হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানান। কাজী আবু তাহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আদালতে রিভিশন নং – ০৮/২০২৪ নং মামলার ৬ এপ্রিল‘২০২৪ তারিখের আদেশে মিসকেস ১৪৩/২০২২-২৩ ও মিসকে ১৫০/২০২২-২৩ নং কেসের ২৭ নভেম্বর‘২০২৩ তারিখের আদেশে রহিতের জন্য আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে কাজী আবু তাহেরগং সরকারি আদেশ না মেনে ঘর বাড়ি নির্মান, গাছকাটা ও পুকুর থেকে মাটি বিক্রয় করে আত্মসাত করে যাচ্ছে। আমি ২৩ জানুয়ারি‘২৪ তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা আদালাতে মামলা দায়ের করি। যার পিটিশন নং ১৩৬/২৪, স্মারক নং- ২৫১, তারিখ ২৩/০১/২৪।
তিনি আরো বলেন, কাজী তাহের গং পেশকার রতনের সাথে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আদালতের পূর্বের সকল রায় বাতিলের পায়তারা চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মামলার নির্ধারিত তারিখের আগেই পুটআপ দিয়ে নথি উত্তোলন করে সকল আদেশ বাতিল করবে মর্মে প্রচার দিচ্ছে।
আমরা উক্ত কাজী আবু তাহের গং এবং পেশকার রতনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।