শ্যামনগরে স্কুলের পুকুরের মাছ আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক
শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নকিপুর হরিচরণ পাইলট বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের কারণে বিভিন্ন সময় সমালোচনা এসেছে। পূর্বে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও থেমে নেই প্রধান শিক্ষক ডক্টর আব্দুল মান্নানের কর্মকান্ড। এবার তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষকের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে অবস্থিত পুকুরটিতে শিক্ষকদের সমন্বিত অর্থায়নে মাছ চাষ করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর শিক্ষকরা পুকুরের মাছ ভাগাভাগি করে নেন। কিন্তু এবার কোন শিক্ষককে কিছু না বলেই পেশি শক্তি কাজে লাগিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গত ১লা মার্চ (শুক্রবার) স্কুলের পুকুর থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি মাছ ধরেন। ধৃত মাছগুলোর মধ্যে কিছু মাছ তার অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করা শিক্ষকদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাকি মাছ প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যরা ভাগ করে নেন। মাছ পাওয়া শিক্ষকদের তালিকায় আছেন শাহ আলম নাইট গার্ড লুৎফর রহমান, এল এম এস এস সাইফুল ইসলাম ও মোঃ এনামুল হকসহ অনেকে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ডক্টর আব্দুল মান্নানের নিকট জানতে চাইলে মাছ ধরার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না তবে আপনারা সরাসরি ঘটনাস্থলে আসেন তাহলে বিষয়টা বুঝতে পারবেন। আপনার বিরুদ্ধে বিগত দিনে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এমন প্রশ্নের তিনি বলেন স্কুলের একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে গত পাঁচ বছর ধরে একই ঢোল পিটিয়ে যাচ্ছেন তারা। স্কুলের শিক্ষকদের সমন্বয়হীনতার অভাব আছে বলে মনে করছি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি তাদের মত এত নিচে নামতে পারি না।স্কুলের সহকারি শিক্ষক টেকনিক্যাল মোঃ শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০-১২টা মাছ মেরেছে আমি জানি আমার জন্য একটা পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এনামুলের ছেলে মিনহাজের মাধ্যমে মাছটি এনামুলকে দিয়ে দেই।