তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ফের বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ
ডেস্ক নিউজ:
তালাক দেওয়ার পর ফের স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন মোহাম্মদ আলী। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী। এমন খবর শুনে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে আলী। ফলে বাধ্য হয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আলীসহ দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। সম্প্রতি ওই নারী জমজ সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর একটি সন্তান মারা যায়। আরেকটি ছেলে সন্তান কোলে নিয়ে বাবা স্বীকৃতির দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই নারী।
ঘটনাটি শেরপুরের শ্রীবরদীর। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী থানার ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী। এর আগে, শনিবার (২ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কুরুয়া ভাটিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে শিশুসন্তান কোলে নিয়ে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে ঘুরছে মা।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ওই নারীর সঙ্গে প্রতিবেশী গ্রামে এক যুবকের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের কারণে তাদের মধ্যে তালাক হয়। এরপর বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন ওই নারী। এই সুযোগে বাড়িতে একা পেয়ে ফের বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করেন আলী। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী। এমন খবর শুনে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে আলী। ফলে বাধ্য হয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আলীসহ দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। সম্প্রতি ওই নারী জমজ সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর একটি সন্তান মারা যায়। আরেকটি ছেলে সন্তান কোলে নিয়ে বাবা স্বীকৃতির দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই নারী।
তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ আলী মুন্সী দিয়ে বিয়ে পড়ায়। এরপর থেকে প্রায় ছয় মাস আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আমি অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার কথা বলি। কিন্তু সে ওই বিয়ে অস্বীকার করে। এমনকি রেজিস্ট্রি করতেও রাজি হয়নি। পরে আমি কোনো উপায় না পেয়ে থানায় মামলা করি। আমি আমার সন্তানের বাবার স্বীকৃতি চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাসেল মিয়া বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কুরুয়া ভাটিপাড়া এলাকা থেকে প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ভিকটিমের সন্তানের স্বীকৃতির ব্যাপারে ডিএনও পরীক্ষার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।