রংপুরের অপেক্ষা বাড়িয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

স্পোর্টস ডেস্ক:
দশম বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে আসরের ফাইনালে উঠেছে লিটন দাসের দল। অপরদিকে কুমিল্লার কাছে হেরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নুরুল হাসানের দলকে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

বিপিএলের এলিমিনেটরে চট্টগ্রামকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এবার সেই দলের বিপক্ষেই মাঠে নামবে রংপুর রাইডার্স। ম্যাচটিতে জয়ী দল ফাইনালে কুমিল্লার মুখোমুখি হবে।

এদিন রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সুনীল নারিন ও লিটন দাস। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন ফজল হক ফারুকী।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই নারিনকে সাজঘরে ফেরান ফারুকী। এতে গোল্ডেন ডাক খেয়ে বাইশ গজ ছাড়েন এ ক্যারিবীয়ান।

পরে উইকেটে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তার সঙ্গে শুরুতে রয়েসয়ে এগোতে থাকেন লিটন। এরপর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান তারা দুজন। তাদের ব্যাট থেকে আসে ১৪২ রান। দুজনেই করেন অর্ধশতক।

দলকে জয়ের সুবাস পাইয়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হৃদয় (৬৪)। উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি জনসন চার্লসও (১০)।

শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে লিটন (৮৩) সাজঘরে ফিরলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মঈন আলী। যদিও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে কুমিল্লার অধিনায়ক লিটনের হাতেই।

রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেন ফারুকী। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার ও মাহেদী হাসান।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক লিটন দাস। শুরুটা আশানুরূপ করে তার দল। মাত্র ২৭ রানে টপ অর্ডারের তিন উইকেট শিকার করে কুমিল্লা। রনি ১৩, শামীম ০ ও সাকিব ফেরেন ৫ রানে।

চতুর্থ উইকেটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন মাহেদী হাসান ও জিমি নিশাম। ব্যক্তিগত ২২ রানে মাহেদী আউট হলে ভাঙে দুজনের ৩৯ রানের জুটি। পঞ্চম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন পুরান ও নিশাম। ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন পুরান।

ক্রিজে নেমে নিশামকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার কাজ করেন নুরুল হাসান সোহান। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসে দ্রুত এগোতে থাকে রানের চাকা। অন্য প্রান্তে ৩১ বলে দারুণ এক অর্ধশতক পূরণ করেন নিশাম।

৩০ রানে সোহান আউট হন। এর আগে নিশামের সঙ্গে তিনি গড়েন ৫৩ রানের জুটি। রংপুরের ইনিংসের বাকিটা একাই টেনে নেন নিশাম। মিরপুরে চার-ছক্কার ঝড় তুলে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন এ কিউই অলরাউন্ডার।

ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম। কুমিল্লার হয়ে আন্দ্রে রাসেল দুটি এবং নারিন, তানভীর, বর্ষণ ও মুশফিক একটি করে উইকেট নেন

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)