এবার স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন ৭৭ বছরের বৃদ্ধ
ডেস্ক নিউজ:
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ১৪ বছরের স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী মিয়ার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। অভিযুক্ত ৭৭ বছরের বৃদ্ধ হযরত আলী টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর পরিবার একই ইউনিয়নের। তারা দরিদ্র হওয়ার সুবাদে ওই বাড়িতে বিভিন্ন সহযোগিতার কথা বলে যাওয়া-আসা করতেন হযরত আলী। এভাবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিবারটির সম্পর্ক ভালো ছিল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান চলাকালে কৌশলে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান হযরত আলী। পরে এক সপ্তাহেও তাকে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি এলাকাতে জানাজানি হলে হযরত আলীর বিচার চেয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার ২০ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করে।
স্থানীয়রা জানান, হযরত আলীর প্রথম স্ত্রী রয়েছে। নাতি বয়সী কিশোরীকে বিয়ে করার বিষয়টি এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। চেয়ারম্যান (সাবেক) ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স এফিডেভিট করে বিয়ে করেছেন।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, আমরা গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করেছি। তিনি মেয়েকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে মেনে নিতে পারছি না। এখন অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
ধনবাড়ী থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি ফৌজদারি না হওয়ায় থানায় মামলা নেয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগী পরিবার যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করে, তাহলে তাদের সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা দেওয়া হবে।