আশাশুনিতে বাড়ির সকলকে অচেতন করে সবর্স্ব লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
রঘুনাথ খাঁ: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ির সকলকে অচেতন করে সবর্স্ব লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও লুট করা স্বর্ণের গহনাসহ মালামাল উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশাশুনির গোদাড়া গ্রামের মো: নূরুল ইসলাম সরদারের কন্যা ফাহিমা ফারহানা স্মৃতি বলেন, পেশাগত কারণে তারা ঢাকাতে অবস্থান করেন। ফলে বাড়িতে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক পিতা এবং স্বাস্থ্যকর্মী মাতা বাড়িতে অবস্থান করেন। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমাতে যান বাবা ও মা। পরের দিন সকালে বাড়ির কাজের মেয়ে এসে দেখেন তার বাবা ও মা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরের মালামাল অগোছালো। এ সময় ওই মেয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরে থাকার নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণের গহনা, যার আনুমানিক মূল্য ৮লক্ষ টাকা, ২২ ভরি রুপার অলংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের কে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন অচেতন থাকার পর তার বাবা ও মায়ের জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনো পর্যন্ত সুস্থ হতে পারেনি। তাদের ধারণা, অজ্ঞাত চোরেরা বাবা ও মায়ের চোখে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। ফলে সাথে সাথেই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। ওই কীটনাশকের মাত্রা এতটাই বেশি যে এর প্রতিক্রিয়ায় তার বাবা ও মা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একেবারে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে। ওই অজ্ঞাত চোরেদের বিরুদ্ধে এখনই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চুরি আতংকে রাত কাটাবে আশাশুনির মানুষ। এ বিষয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হটাৎ করে সাতক্ষীরার আশাশুনিসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে চুরি বেড়ে গেছে।তাদের বাড়িতে ইতিপূর্বে কখনো চুরি সংঘটিত না হলেও এখন এসে একেবারে অচেতন করে চুরির ঘটনায় তাদের গ্রামসহ আশাশুনির মানুষ উদ্বেগের সাথে রাত কাটাচ্ছেন। তিনি ওই চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত চিহ্নিত করণসহ দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।