ছোট্র বাচ্চা কিছুতেই পানি পান করতে চায় না? জেনে নিন সমাধান
স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা:
পানির অপর নাম জীবন। পানি শরীরের রক্ত থেকে শুরু করে প্রস্রাব, উৎসেচক তৈরি, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া সহ একাধিক জরুরি কাজে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আর তাই তো শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির জোগান থাকা ভীষণই জরুরি।
তবে মুশকিল হলো, কিছু ছোট্র বাচ্চার পানি দেখলেই জ্বর আসে। তাই তারা কিছুতেই পানি পান করতে চায় না। আর সেই কারণেই তাদের শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
তাই আপনার প্রিয় ছোট্ট সন্তানকে ডিহাইড্রেশনের মতো জটিল সমস্যার ফাঁদ থেকে বাঁচাতে চাইলে তাকে পর্যাপ্ত পানি পানের শিক্ষা দিতেই হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত কয়েকটি টিপস।
প্রিয় পাঠক আশা করছি, এইসব টিপস ঠিকমতো ব্যবহার করলেই আপনার ছোট্ট সোনা মনি খুব সহজেই পানির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেবে। আর এটাই হবে আপনার জন্য জয়।
(এক) বারবারে পান করান: অনেক অভিভাবক তার সন্তানকে একবারে অনেকটা পানি পান করাতে চান। আর এই ভুলটা করেন বলেই সন্তান পানি পান করতে চায় না। বরং সে পানি দেখলেই ছুটে পালায়। তাই এবার থেকে এই ভুলটা করা চলবে না। বরং চেষ্টা করুন, তাকে একবারে পানি পান করিয়ে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করান। এই কাজটা করলেই দেখবেন সন্তান টুক করে পানি পান করে নেবে। আপনাকে আর তার সঙ্গে জোর জবরদস্তি করতে হবে না।
(দুই) আপনার থেকেই শিখবে: ছোট্ররা দেখেই শেখে। তাই তার মধ্য়ে পানি পানের অভ্যাস তৈরি করতে চাইলে আপনাদের বারেবারে পানি পান করতে হবে। আর এই কাজটা তার সামনেই করতে হবে। তাহলেই ছোট্ট সোনা মনির মধ্যে পানি সম্পর্কে আগ্রহ জন্মাবে। আর তারপর সে নিজেই বোতল হাতে তুলে পানি পান করে নেবে। তাই আজ থেকেই এই টেকনিক ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!
(তিন) বুঝিয়ে বলুন: ছোটদেরকে চাপ দিয়ে তেমন একটা লাভ পাবেন না। বরং তাদের বুঝিয়ে বললেই সহজে কাজ হাসিল করতে পারবেন। তাই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে সন্তানকে পানির গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। এমনকী পানি পান না করলে তার কী কী সমস্যা হতে পারে, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কেও তাকে অবগত করতে হবে। এভাবে দিনকতক তার সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বললে সে নিশ্চয়ই শুনবে। এমনকী ধীরে ধীরে সে পানির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেবে।
(চার) ডাবের পানির জুড়ি মেলা ভার: সন্তান পানি না পান করতে চাইলে তাকে দিনে অন্তত একটা ডাবের পানি পান করাতেই হবে। এই কাজটা করলেই তার দেহে পানির ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। এমনকী তার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যও ফিরে আসবে। ফলে চট করে আর ডিহাইড্রেশনের ফাঁদে পড়তে হবে না। তাই সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই নিয়মটা অবশ্যই মেনে চলুন।
(পাঁচ) ফলের রসও সেরা বিকল্প: তবে ডাবের পানি ছাড়াও এই সমস্যা সমাধানে সন্তানকে বাড়িতে মরশুমি ফলের জুস করে পান করাতে পারেন। তাতে যেমন ছোট্ট সোনার শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে, ঠিক তেমনই ভিটামিন ও খনিজের অভাবও পূরণ করতে পারবেন।
তবে ছোটদের বাজারচলতি ফলের রস খাওয়াবেন না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।