পাকিস্তানে সরকার গঠনে মতৈক্যে পৌঁছতে ব্যর্থ পিএমএল-এন ও পিপিপি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জোট সরকার গঠনের জন্য ক্ষমতা ভাগাভাগির কৌশল নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছতে পারেনি নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। যদিও আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের দাবি করেছে দল দুটি।
শনিবার দুই দলের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় কমিটির (সিসিসিএস) তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মূলা চূড়ান্ত করতে সোমবার দুই দল ফের বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৈঠকের পর পিএমএল-এন এক সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, উভয় পক্ষে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। শক্তিশালী একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ঘোষণায়।
দু দলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দল যেসব প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলো নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে। যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে। তবে হাতে থাকা বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে আরো আলোচনা প্রয়োজন।
সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুই দলের প্রতিনিধিরা প্রথম বৈঠকে আলোচনা হওয়া প্রস্তাবগুলো মূল্যায়ন করতে আরো বেশি সময় নেয়ার চেষ্টা করেছে।
পিএমএল-এনবে সরকার গঠন এবং তাদের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থনেরও আশ্বাস দিয়েছে পিপিপি। তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনও মন্ত্রীপদও চায়নি। কেবল প্রেসিডেন্ট এবং স্পিকারের মতো পদ চেয়েছে পিপিপি।
কিন্তু পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট এবং স্পিকারের মতো পদগুলো পিপিপি কে দিতে চাইছেনা। এমনটিই বলছেন পিপিপি’র এক নেতা।
পিপিপি পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই সাংবিধানিক শীর্ষ পদ গুলো চাইছে। কারণ, তাদের আশঙ্কা পিএমএল-এন এর আমলে পার্লামেন্ট হারানো মর্যাদা ফিরে পেতে পারবে না।
পিপিপি নেতার কথায়, পিএমএল-এন এর অতীত রেকর্ড ভাল না। এমনকি শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিডিএম সরকারে পিএমএল-এন পালামেন্টে কয়েকটি বিধি চালু করেছিলেন জোর শরিকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই।
পিপিপি’র কয়েকটি সূত্র বলেছে, এখন পর্যন্তদল সাংবিধানিক এবং পার্লামেন্টারি পদগুলোর জন্য কোনও প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেনি। এসব পদে কাকে বিবেচনা করা হবে তার সবই নির্ভর করছে কমিটিগুলোর মধ্যে চলমান আলোচনার ওপর।
এ বিষয়টি ছাড়াও আরো যে বিষয়টি কমিটিগুলোর আলোচনা বিষয়বস্তুর মধ্যে আছে তা হল প্রদেশগুলোর জন্য উন্নয়ন তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি।
পিএমএল-এন নেতারা প্রদেশগুলোর জন্য বিশেষ করে সিন্ধুর জন্য বিনা বাধায় তহবিল ছাড় করবেন সে আশ্বাস দলটির কাছ থেকে চাইছে পিপিপি।