দাদার মৃত্যু শোকে নাতনির আত্মহত্যা
ডেস্ক নিউজ:
রাজধানীর লালবাগে দাদার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে সুমা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুমি হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। পরিবার সহ সে লালবাগ থানাধীন ডুরি আঙ্গুলী লেনে ভাড়া থাকত।
সুমির চাচা মোহাম্মদ রুমন বলেন, ‘আমার বাবা বার্ধক্য জনিত কারণে গতরাত দশটার দিকে মারা যায়। সুমা তার দাদার খুব আদরের নাতনি ছিল। দাদাকে ছাড়া সে এক মুহূর্ত থাকতে পারতো না। কিন্তু হঠাৎ করে দাদার মৃত্যুতে সে খুব ভেঙে পড়েছিল।’
রুমন বলেন, ‘রাতে সে দাদার লাশের পাশে বসে কোরআন শরীফ পড়েছিল। লাশ গোসল করানোর জন্য আমরা এলাকার একটি স্থানে নিয়ে যাই। সুমি তখন ওয়াশরুমের কথা বলে দোতলার ঘরে যায়। এদিকে লাশের গোসল সম্পন্ন হলেও সুমার কোন খবর না পাওয়ায় তার মা দোতলার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখে অনেকক্ষণ ধাক্কা দেয় এবং তাকে ডাকে। সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায় সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।’
একই পরিবারে পরপর দুটি মৃত্যুতে বাকহীন হয়ে পড়েছে বাকি সদস্যরা। রুমন বলেন, ‘আমরা কিভাবে দাদার-নাতনীর এই মৃত্যুর শোক সইব।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।