কলারোয়া সরকারি কলেজে সুবর্ণজয়ন্তী

কামরুল হাসান: কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের শেষ দিকে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।” আগামীর পথে চলো একসাথে”-এই স্লোগানে ঐতিহ্যবাহী কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চলমান রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর এস,এম আনোয়ারুজ্জামান ও সদস্য সচিব কাজী আসাদুজ্জামান জানান, শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ১৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সাতক্ষীরা-১ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন সুবর্ণজয়ন্তীর সফলতা কামনা করে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম যথা সময়ে সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত তাঁর বাণী রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে এনে দিয়েছে এক ভিন্নমাত্রা। কলারোয়া পূবালী ব্যাংকের নিচে বিজু কম্পিউটার, কাছারি মসজিদের সামনে হাসান কম্পিউটার, উপজেলা মোড়ে সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস কাউন্টার, ডাক্তার হাবিবের চেম্বার, শেখ জাহাঙ্গীর, শিক্ষক আ. ওহাব মামুন, আব্দুল হক নিজ উদ্যোগে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালাতে গিয়ে আগ্রহীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন। বিজু ও মোর্তজা রেজিস্ট্রেশনের জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করেছেন। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, শেষ দিকে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। যার ফলে সকাল থেকেই বুথগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমের সাথে স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে আলাপকালে প্রধান শিক্ষক হরিসাধন ঘোষ ও আজহারুল ইসলাম বলেন, এই মহা মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। আর কখনো কলেজ জীবনের বন্ধুদের সাথে দেখা হবে কী না জানি না। সেজন্য সুবর্ণজয়ন্তীতে সকলকে রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান তারা। এছাড়া বর্তমান সময়ের দুই শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্তকালে বলেন, আমরাও স্মরণকালের এ মহা মিলনমেলার সাক্ষী হবো সেজন্য রেজিস্ট্রেশন করলাম। গত কয়েক দিন কলারোয়ার সর্বত্রই কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা বেশ তুঙ্গে। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ ই এপ্রিল কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব আরো বলেন, “এখনো পর্যন্ত যে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তাতে আমরা খুবই আনন্দিত ও খুশি। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই, সে জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে।” বুথগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত পর্যন্ত ২০০৭ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। কোনো প্রাক্তন শিক্ষার্থী যেন রেজিস্ট্রেশন থেকে বঞ্চিত না হন বা এখনো যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাদেরকে শনিবারের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করার সবিনয়ে আহ্বান জানান আয়োজকরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)