ভালোবাসা দিবসে বিয়ের দাবিতে তরুণীর অনশন, পালালেন প্রেমিক

ডেস্ক নিউজ:
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে প্রেমিকা দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক ও তার মা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মঠেরবাজারের চর গোবিন্দপুর গ্রামে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান চর গোবিন্দপুরের মৃত প্রেজা মিয়া শিকদারের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাড়ি রাজৈর উপজেলায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন মেহেদী হাসান। পরে মোবাইলে নিয়মিত কথা হতো তাদের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৯ জানুয়ারি তরুণীকে শহরে ডেকে নেন মেহেদী। পরে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে সময় কাটান মেহেদী। এরপর মেহেদীর আচরণে ওই তরুণী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরে তিনি মেহেদীর পরিবার ও এলাকার মুরুব্বিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে বুধবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে অনশনে বসেন তরুণী। তবে প্রেমিকাকে দেখে কৌশলে পালিয়ে যান প্রেমিক মেহেদী হাসান ও তার মা সুফিয়া বেগম।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, মেহেদী পেশায় একটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আরএসও হিসেবে কাজ করে। এ সুযোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত তার। পরে আমার নম্বর সংগ্রহ করে প্রেম ও বিয়ের নাটক সাজায়। সে আমাকে বিয়ে না করলে ও স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আমি আত্মহত্যা করব। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান পলাতক থাকায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মেহেদী হাসানের চাচাতো ভাই খোকন শিকদার বলেন, আমরা মেহেদীকে জিজ্ঞেস করেছি, সে অস্বীকার করেছে। আমরা এর প্রমাণ পেলে মেয়েটির ন্যায্য অধিকার দেব। আর সেটা না হলে আমাদের মানসম্মান নষ্ট করার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, অভিযুক্তকে ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মেয়েটিকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)