সাতক্ষীরায় নারী নির্যাতন বন্ধে মানববন্ধন 

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সারাদেশে নারী নির্যাতন বন্ধ ও নারীর মানবাধিকারসহ সকল প্রকার অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে।নারী ও কন্যাশিশুর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তাবিধানে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শুধু শারীরিক বা মানসিক নয়, প্রায় সর্বক্ষেত্রে নারী অবদমনের শিকার হয়ে থাকেন।
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সারা দেশেরন্যায় নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারীরা বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাদব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন,সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড.আবুল কালাম আজাদ,এ্যাকশন এইডের সিদরাতুল মুনতাহা, সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল বিশ্বাস,উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা তালা,সাতক্ষীরা সূচনার প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর রেহেনা পারভিন বিথী, বারসিকের গাজী চাহিদা মিজান,সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি,শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি এস এম হাবিবুল হাসান,যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম,মাসুদ রানা,স্বপ্না পারভীন প্রমুখ,দলিত সমিতির সভাপতি গৌর পদে দাস,রুপান্তরের জেলা সমন্বয়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।
এর আগে বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতনের ধারণা পত্র পাঠ করেন যুব সংগঠক শ্রেয়া সরদার।
স্বদেশ,টিআইবি,সিডো,বারসিক,মহিলা পরিষদ,শ্রীজনী মহিলা লোক কেন্দ্র, আশা লোক কেন্দ্র, উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা তালা, রুপান্তর,প্রথম আলো বন্ধুসভা, উত্তরণ, সুশীলনসহ বিভিন্ন সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন,জাতিসংঘের তথা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি ৩জনে ১জন নারী তার জীবদ্দশায় শারীরিক নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের শিকার হন। পৃথিবীতে বসবাসকারী ১০০ কোটিরও বেশি নারী এই সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত। এই বাস্তবতায় নারীর প্রতি চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে ‘ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং’ বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে প্রচারণা চালাচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও শত শত মানুষ ‘উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি’র ব্যানারে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচারের দাবীতে অফিস আদালত গৃহাঙ্গন থেকে বেরিয়ে এসে রাজপথে দাঁড়ান এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে সোচ্চার হন। এর ধারাবাহিকতায় এ বছরও বৈষম্য, নির্যাতনের শিকার নারী, কন্যা, রূপান্তরিত নারীসহ সকলের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্য ‘মুক্তিকে’ কর্মসূচির মূল বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।বর্তমান বাংলাদেশে নারী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। যে সব নারী বাইরে ও ঘরে কাজ করছেন তারা বহুমুখী সমস্যার শিকার হচ্ছেন। ধর্মের অপব্যাখ্যায় নারীকে প্রতিনিয়ত হেনস্তা করা হচ্ছে।এছাড়াও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বিপর্যন্ত অবস্থার কারণে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনী জনগণের উপর ইসরায়েলের গণহত্যার কারণে নারী ও শিশুরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)