শ্যামনগরে এক মাস আটকে রেখে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ- গ্রেফতার সাবেক ইউপি সদস্য!
স্টাফ রিপোর্টার:
শ্যামনগরে এক কলেজ ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন প্রাক্তন (ইউপি) সদস্য মোঃ মেস্তাফিজুর রহমান বকুল ও তার বন্ধু খানজাহান আলী।
এঘটনায় ভিকটিম ছাত্রীর মা দুই জনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরের দিকে সাবেক ইউপি সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছেন। এর আগে গত ৮জানুয়ারী কলেজে যাওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালিনগর গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে খানজাহান আলী (২২) ও একই গ্রামের ইসাহাক আলী মল্লিকের ছেলে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রাক্তন সদস্য মোঃ মেস্তাফিজুর রহমান বকুল।
মামলাসূত্র জানা যায়, ওই ছাত্রী কলেজ যাওয়া আসার পথে খানজাহান আলী ও তার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান প্রায় উত্যাক্ত করত। বিষয়টি পারিবারিকভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠকে কোন সুরাহ হয়নি। এক পর্যায়ে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনারদিন দলবদ্ধভাবে মোটরসাইকেল যোগে ছাত্রীকে অপহরণ করে এবং দীর্ঘ এক মাস আটকে রেখে ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সামেক) পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার দুই আসামীকে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।