বিশ্ব হাগ ডে:প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করলে ডিপ্রেশন কমে
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব হাগ ডে হিসেবে উদ্যাপিত হচ্ছে। সঙ্গীর প্রতি অনুভূতি এবং কতটা ভালোবাসেন তা দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করুন। আজ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার বন্ধনে নতুন শক্তি আনতে পারেন।
মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো লাগার হরমোন বা ফিল-গুড হরমোন নিঃসরণ করার ক্ষেত্রে মায়া, মমতা আর ভালোবাসাপ্রসূত স্পর্শ অত্যন্ত কার্যকর। এদিকে স্পর্শ বা আদরের অনুপস্থিতি শৈশব, কৈশোর বা প্রাপ্তবয়স্ক পর্যায়েও আমাদের গভীর মানসিক অবসাদ, ডিপ্রেশন, হতাশায় নিমজ্জিত করতে পারে।
প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গনের ভালো দিকগুলো জেনে নিতে পারেন-
ভালো ঘুম হয়: অনেকে স্বপ্নে ভালোবাসার মানুষকে আলিঙ্গনে খুঁজে পান। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে ঘুমানোর আগে যদি প্রিয় মানুষকে অল্প সময়ের জন্য হলেও নিবিড় আলিঙ্গনে রাখা যায়, তাহলে সেই আলিঙ্গন নাকি গভীর ঘুম আনতে সহায়তা করে। আর প্রাণশক্তি বাড়াতে ভালো ঘুমের বিকল্প কিছু নেই।
ডিপ্রেশন কমে: সাম্প্রতিক এক স্টাডি বলছে প্রিয়জনের আলিঙ্গনে ১০ সেকেন্ডে কেটে যায় দুশ্চিন্তা, হতাশা আর স্ট্রেস। তাই অন্তত ১০ সেকেন্ড জড়িয়ে ধরে রাখুন প্রিয়জনকে।
হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখে: আলিঙ্গনের সময় অক্সিটোসিন নামে হরমোনের ক্ষরণে হৃৎস্পন্দনের দ্রুত হার কমে আসে এবং এর জন্য হৃৎস্পন্দনের দ্রুত হার স্বাভাবিক সীমায় চলে আসে। ফলে শরীর শান্ত ও ভালো থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়: শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গনের ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস পায়। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা প্রমাণ করেছে, মধুর আলিঙ্গনে অক্সিটোসিন নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হয় এবং এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষা বলছে, নিবিড় আলিঙ্গনের সঙ্গে কর্টিসল নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কর্টিসল হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু নিবিড় আলিঙ্গনের ফলে হরমোনের ক্ষরণ কমে আসে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এসব ভালো দিকের কথা যদি বাদও দেয়া হয় তারপরও কিন্তু প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গন বা নিবিড় স্পর্শ আমরা সবাই উপভোগ করি। এর মধ্যে অনেক ভালো লাগা অনুভূতিও কাজ করে। এমনকি দুঃসময়ে ভরসা জোগায়। তাই এসব মাথায় রেখে হলেও প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গন করার প্রয়োজন রয়েছে।