কালীগঞ্জে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ৫ সপ্তাহ পর থানায় মামলা, গ্রেপ্তার-৩
স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত সংসদীয় নির্বাচনের এক দিন আগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতাউল হক দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পাঁচ সপ্তাহ পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক উপজেলার বাজারগ্রামের গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ এর ছেলে সুলতান আহম্মেদ বাদি হয়ে সোমবার এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিকারী সাজেদুল হক সাজু, রফিকুল ইসলাম ও কাটুনিয়া গ্রামের মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে কেনাকে রবিবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি ভোরে কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের সার্কেল অফিসারের কার্যালয় থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সাতক্ষীরা- ৪ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী আতাউল হক দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর শেষে তাতে আগুণ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে সাবেক সাংসদ ও বিগত সংসদীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি আন্দোলনের নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজা, এক সময়কার ছাত্র শিবির নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর দক্ষিণহস্ত বলে পরিচিত শিকারী সাজেদুল হক সাজু, সাংবাদিক নির্যাতনকারী ও সদর থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামী বিষ্ণুপুর ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের রতেœশ্বরপুর গ্রামের রফিকুল গাজী, কাটুনিয়া রাজবাড়ি গ্রামের মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে কেনা ও শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী গ্রামের রবিউল ইসলাম জোয়ারর্দ্দারসহ অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন দোকান মালিক সুলতান আহম্মেদ।
এদিকে ঘটনার পাঁচ সপ্তাহ পর মামলা রেকর্ড ও আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সাজেদুল হক সাজু, রফিকুল ইসলাম ও মোঃ সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বহুল আলোচিত বিষ্ণুপুর ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের ভো দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদি সুলতান আহম্মেদ জানান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পেতে দেরী হওয়ায় মামলা করতে দেরী হলো।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীন জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরপরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাজু ও রফিকুল ইসলামকে পুলিশ প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত জামিনে মুক্তি দিয়েছেন বিচারিক হাকিম নয়ন বিশ্বাস। আসামী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তার জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করেছেন আদালত।