শ্যামনগরে মাদ্রাসার ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃস্বত্বা আটক -১
রঘুনাথ খাঁঃ সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃস্বত্বা হওয়ার ঘটনায় বাবুলাল মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন।আটককৃত বাবুলাল মÐল (৫০) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নাগবাটি গ্রামের বিষ্ণুপদ মণ্ডলের ছেলে।এদিকে নাগবাটি গ্রামের বাবুলাল মণ্ডল জানান, একই গ্রামের ১৪ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ার ঘটনায় ওই মেয়ে একই এলাকার কিংফিশার পরিবহনের শ্যামনগর কাউণ্টার পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুছা গাজীর দাদা বাচা গাজীর নাম বললে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মুছা গাজী বুধবার বিকেলে তাকে তার বাড়ি থেকে কিংফিশার পরিবহন কাউণ্টারে ডেকে আনে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মেয়েটির অন্তঃস্বত্বার ঘটনা তাকে স্বীকার করতে বলে। স্বীকার করলে পুলিশকে কিছু টাকা দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে দেবে বলে জানায় মুছা। রাজী না হওয়ায় পুলিশকে দিয়ে তাকে তুলে এনে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে এলাকার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বাবুলাল মণ্ডল একজন সুদখোর। তাকে বাগে ফেলতেই এ ধরণের সাজানো নাটক করা হচ্ছে।
মেয়েটির চাচা মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে সঠিক কিছু বলা কঠিন। এ ধরণের ঘটনায় মেয়েটির কাছ থেকে ভালভাবে না জেনে কাউকে দায়ী করা উচিত নয় ।
তবে মেয়েটির বাবা বা পরিবারের কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে মুছা গাজী বুধবার বিকেলে বাবুরাম মণ্ডলকে তার কাউন্টারে ডেকে এনে ও্ই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা স্বীকার করেই বলেন, মেয়েটি বাবুলালের দোষ দিয়েছে কিন্তু বাবুলাল অস্বীকার করেছে। তবে তার দাদার বিরুদ্ধে ওই মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আছে কিনা তা তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৪ বছরের এক মেয়েকে অন্তঃস্বত্তা করার অভিযোগে বাবুলালকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।