বাংলাদেশি মরবে কেন অন্য দেশের মর্টার সেলের আঘাতে——-রিজভী
ডেস্ক রিপোট : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারকে উদ্দেশে বলেছেন, কেন আমাদের দেশের একজন নারী মারা যাবে অন্য দেশের মর্টার সেলের আঘাতে, উপযুক্ত জবাব কোথায়? একটা লিখিত প্রতিবাদ পর্যন্ত সরকার দিতে পারে না। কারণ হচ্ছে দুর্বল সরকার, জনসমর্থনহীন সরকার।বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রিজভী বলেন, নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য সরকার যা ইচ্ছে করবে। দেশের সার্বভৌমত্ব তার কাছে কিছু না, দেশের মানুষ কিছু না। যে কথাটা গতকাল আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সংবাদ ব্রিফিং থেকে বলেছে তা অবশ্যই সঠিক। রহস্যজনক ভূমিকা না থাকলে যদি সত্যিকার অর্থে জনসমর্থিত সরকার থাকত তাহলে তার কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব প্রস্তুতি আমরা দেখতে পারতাম, আমরা দেখতে পারতাম সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী কী ধরনের ভূমিকা রাখছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে রোহিঙ্গারা এসেছিলো। আসার পর অত্যন্ত ক্ষীপ্ত কুটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদেরকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন তখনও রোহিঙ্গাদের দ্রুত তৎপরতার মাধ্যমে তার সমাধান করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়িতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্তে বাংলাদেশি এলাকায় নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। জীবন যাচ্ছে মর্টারের সেলে। বাংলাদেশের চারদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোড়া অস্ত্রের আঘাতে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। পাশের দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধিপ্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিদিনই পিছু হটছে আর তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিপদের সম্মুক্ষীণ হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল খালেক, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।