শ্রাবন্তীকে ভুলে দ্বিতীয় বিয়ে কৃষাণের

বিনোদন ডেস্ক:
ভালোবেসে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন সুপারমডেল কৃষাণ বিরাজ। তবে সেই বিয়ের মেয়াদ ছিল মাত্র কয়েকমাস। অতীত ভুলে আগেই নতুন জীবন শুরু করেছিলেন শ্রাবন্তী, যদিও নায়িকার তৃতীয় বিয়েও টেকেনি। তবে শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর এবার নতুন জীবন শুরু করলেন কৃষাণ বিরাজ।

গত বছর জানুয়ারি মাসেই পরিবারের পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে আংটি বদল সেরেছিলেন শ্রাবন্তীর প্রাক্তন। আর প্রেমের মাসের শুরুতেই চার হাত এক হল কৃষাণ-আর্শিয়ার। কৃষাণের স্ত্রীর নাম আর্শিয়া সিনহা। প্রেমের মাসের প্রথমদিনই গাঁটছড়া বেঁধেছেন দুজনে। মঙ্গলবার ফেসবুকে বিয়ের প্রথম ছবি দিলেন কৃষাণ বিরাজ।

ছবিতে দেখা গেল সাদা পোশাকে বর-কনের রং মিলান্তি। বিয়ের অনুষ্ঠানে কৃষাণের পরনে ছিল সাদা শেরওয়ানি ও তার কনে আর্শিয়া সেজেছিলেন সোনালি জরির কাজ করা সাদা শিফন শাড়িতে। সঙ্গে লাল ওড়না। হিরের ভারী গয়না। হাতে লাল চূড়া, মাথায় ট্রাডিশন্যাল মুকুট।

বিয়ে গত সপ্তাহে সারলেও, মঙ্গলবারই ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ের প্রথম ছবি ভাগ করে নেন কৃষাণ। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার চিরন্তন ভালোবাসা, আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত….’। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছায় মুড়ে দিয়েছেন শুভাকাঙ্খীরা।

বেলভেডিয়ার পার্ক ক্লাবে বসেছিল বিয়ের আসর। দুই পরিবার ও কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে ছিমছাম বিয়ে সেরেছেন দুজনে। সোমবার ছিল গ্র্যান্ড রিসেপশনের পর্ব। সেইসব মিটতেই বউকে নিয়ে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন কৃষাণ। সেই ছবিও উঠে এসেছে তার সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে।

একটা সময় শ্রাবন্তী-কৃষাণের প্রেম ছিল টলিপাড়ার চর্চার বিষয়। পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে ১৩ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে সুপার মডেলের কৃষাণের হাত ধরেছিলেন শ্রাবন্তী। মুম্বইয়ে এক বিজ্ঞাপনী শুটে পরিচয়, তারপর প্রেম। ১২ বছরের সন্তানকে পাশে নিয়েই ২০১৬ সালের জুলাই মাসে কৃষাণের সঙ্গে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন শ্রাবন্তী। এরপর একসঙ্গে থাকাও শুরু করেন দুজনে। তবে মাস কয়েক যেতে না যেতেই সুখী দাম্পত্যে চিড় ধরে। বিয়ের পরের বছরেই ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন দুজনে। প্রায় দু-বছর পর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আলিপুর আদালত তাদের ডিভোর্সে শিলমোহর দেয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)