লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধায় স্মরণ
বিনোদন ডেস্ক:
২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে এই দিনটা গোটা পৃথিবীর হৃদয়ে নেমে এসেছিল খানিক অন্ধকার। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ, প্রতি মুহূর্তে যার গান আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। লতা মঙ্গেশকর। ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসে যার নাম আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সাত সুরে যিনি বেঁধে রেখেছিলেন সকলকে। তিনি ‘কোকিল কণ্ঠী’ হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত। প্রেম থেকে বিরহ প্রতিটা পর্যায়ের গানে হৃদয়জুড়ে তিনি।
২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ভারতের এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। লতা মঙ্গেশকরের পুরো পরিবারই বলতে গেলে সঙ্গীতের রথী মহারথী ছিলেন। লতার পর একে একে সেবন্তীর কোলে আসেন আশা ভোঁসলে, উষা মঙ্গেশকর, মীনা মঙ্গেশকর ও সর্বকনিষ্ঠ হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।
১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। তার অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়; এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ফ্রান্স সরকার তাকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দনরের অফিসার খেতাবে ভূষিত করে।
তিনি ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৫টি বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, ৪টি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ২টি বিশেষ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
লতাজী ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা মুক্তও হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ১২ মিনিটে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি কিংবদন্তি এই শিল্পীকে।