ঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ
ডেস্ক নিউজ:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে মা-মেয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার ভুক্তভোগী গৃহবধূর বরাত দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।
এর আগে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি ৩-৪ দিন পরপর বাড়িতে আসেন। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাইরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে, এ সুযোগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে তার বসতঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে তিনজন ধর্ষণ করেন। এরমধ্যে তাকে ধর্ষণ করেন দুইজন ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন একজন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে নির্যাতিত গৃহবধূ নতুন এ বাড়িতে উঠেন। ওই বাড়িতে সিঁধ কেটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়।