যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনবে ভারত
আন্তজার্তিক ডেস্ক:শুরুতে বাধার মুখে পড়লেও অবশেষে ভারতের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করার অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, ভারতের কাছে বিক্রি করা অস্ত্রের মধ্যে ৩১টি সশস্ত্র ড্রোন ও ১৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামও রয়েছে।খবরে বলা হয়েছে, প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন এমকিউ ৯বি প্রিডেটর ড্রোন ক্রয় চুক্তির ঘোষণা করেছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের পর চুক্তিটি এখন নিশ্চিত করা হবে।যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টায় ভারতের জড়িত থাকার তদন্ত ঝুলে থাকার কারণে ডিসেম্বরে এই চুক্তি স্থগিত করে সিনেট কমিটি।
পেন্টাগন জানিয়েছে, এই চুক্তিতে ৩১টি সশস্ত্র এমকিউ-৯বি ড্রোন, ১৭০ টি এজিএম-১১৪আর হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ৩১০টি লেজার ছোট ব্যাসের বোমা, যোগাযোগ ও নজরদারি সরঞ্জামসহ একটি নির্ভুল গ্লাইড বোমা রয়েছে। এই চুক্তির প্রধান ঠিকাদার হবে জেনারেল অ্যাটমিক্স অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র চুক্তির প্রভাব উল্লেখ করে পেন্টাগন বলেছে, ভারতের সঙ্গে প্রস্তাবিত ড্রোন চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্য সার্থক হবে।
সিনেটর বেন কার্ডিন জানান, মার্কিন সরকার শিখ নাগরিকের হত্যা ষড়যন্ত্রের সম্পূর্ণ তদন্ত করতে রাজি হওয়ার পর তিনি চুক্তি ‘আটকে’ রাখার ব্যাপারে ইতি টেনেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এই চক্রান্ত নিয়ে (বাইডেন) প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি ও তদন্তের দাবি করা হয়েছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, সিনেটে ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন সিনেটর বেন কার্ডিন। তবে হত্যার পরিকল্পনাটি পূর্ণ তদন্তে মার্কিন সরকার রাজি হওয়ার পর আপত্তি তুলে নিয়েছেন তিনি।