ইজতেমায় ৩ মুসল্লির মৃত্যু
ডেস্ক রিপোট: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫) ও নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।এর আগে, ইজতেমায় আসার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের জামান মিয়া (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনুছ মিয়া (৬০) এবং ইজতেমা মাঠে জামালপুর জেলার মতিউর রহমান (৬০) ও ভোলা জেলার শাহ আলম (৬০)। নেত্রকোনা জেলার এখলাস মিয়া (৬৮) ও আবদুস সাত্তার (৭০) মারা যান।
এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে মোট ৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর সিভিল সার্জনের কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে স্বাধীন ও আ. কাদের মৃত্যুবরণ করেন। অপর দিকে নওশের আলী মারা যান বার্ধক্যজনিত কারণে।
এদিকে টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন ফজরের নামাজের পর থেকে চলছে ধর্মীয় বয়ান। বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলা তরজমা করছেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের নানা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও মঞ্চের পাশে অনুষ্ঠিত হবে গণবিয়ে।
আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে যোবায়েরপন্থিদের তাবলিগ জামাতের প্রথম পর্ব।
ইজতেমার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানের ১০৫টি খিত্তা ছাড়াও সড়ক, মহাসড়কের পাশে ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। ফজরের নামাজের পর থেকে পিনপতন নীরবতায় ধর্মীয় বয়ান শুনছেন তারা। বয়ানের পর এগুলো থেকে নেওয়া শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি খিত্তায় দলবেঁধে নিজস্ব আমিরের (দলনেতা) নেতৃত্বে হবে আলোচনা।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। ১৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছে। সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।