শোক-শ্রদ্ধায় প্রয়াত মুনসুর আহমেদকে স্মরণ করলো দেবহাটাবাসি
স্টাফ রিপোর্টার: তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদকে স্মরণ করলেন দলীয় নেতাকর্মীসহ দেবহাটার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার পারুলিয়াস্থ বাসভবনের পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত প্রয়াত জননেতা মুনসুর আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মুজিবর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন-অর-রশিদ, এসএম শওকত হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা জামসেদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাংসদের পারুলিয়াস্থ কার্যালয়ে জননেতা মুনসুর আহমেদের স্মরণে এক স্মরণসভার আয়োজন করে ইছামতি ইউনাইটেড ফার্ম। এতে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মুজিবর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাংসদের কমান্ডার আশরাফুজ্জামান আশু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামসেদ আলম, মোফাজ্জল হোসেন মোফা প্রমুখ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রয়াত জননেতা মুনসুর আহমেদ করোনাক্রান্ত হয়ে ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ১ ফেব্রæয়ারি রাতে মৃত্যুবরণ করেন। মুনসুর আহমেদ ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহবানে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে তিনি রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৩ সাল থেকে পরপর তিন মেয়াদে তিনি পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি টানা দু’বার সাতক্ষীরা-০৪ আসন থেকে সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সভাপতি হিসেবে টানা প্রায় ৪০ বছর তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছিলেন। এছাড়াও ২০১১ সালে তিনি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী পাঁচ বছর সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।