বাংলাদেশকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রশ্নে যা বলল জাতিসংঘ

আন্তজার্তিক ডেস্ক :মানবাধিকার, ভোটদান এবং মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘের নিয়মিতি প্রেস ব্রিফিংয়ে।বুধবার (৩১ জানুয়ারি, স্থানীয় সময়) জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রের জন্য আমি বলবো সম্ভবত সবচেয়ে উত্তম মেকানিজম হলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মধ্যে ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ বা পর্যালোচনা করা।

ডুজারিকের কাছে সাংবাদিক জানতে চান, জাতিসংঘ বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীকে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর যে আহ্বান জানিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। ক্ষমতাসীন সরকার বলেছে, জাতিসংঘ যা বলুক তা আমরা পরোয়া করি না। আমার প্রশ্ন হলো, নিছক উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া মানবাধিকার, ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ভয়াবহভাবে লঙ্ঘনের জন্য একটি সদস্য রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতায় নেয়ার কোনো মেকানিজম আছে কিনা?

জবাবে ডুজাররিক বলেন, আমি বলবো সম্ভবত এটাই উত্তম কৌশল বা মেকানিজম যে, যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধীনে ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ পর্যালোচনা করা।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ এবং কারাগারে আটক বিরোধীদলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশে বিভিন্ন মামলায় কিংবা মামলা ব্যতীত আটক সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা যে আহ্বান জানিয়েছেন সেই আহ্বানের সঙ্গে মহাসচিব কি একমত?

এ বিষয়ে ডুজারিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের জন্য মানুষকে কখনই জেলে যাওয়া উচিত নয় এবং তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি অভিযুক্ত না হয়। আমরা অনতিবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে ৯ জানুয়ারি জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে আসে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন।

স্টিফেন ডুজারিকের কাছে সাংবাদিক জানতে চান- নির্বাচনের নামে শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া দমনপীড়নের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এর শিকার, নিষ্পেষিত এবং ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, যেখানে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে সব বড় রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন, ভোট জালিয়াতি, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন হয়েছে।

তার এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আগেই আমি বলেছি মহাসচিব একেবারে প্রকাশ্যে সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সব রকম সহিংসতা বন্ধ করতে এবং প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে প্রতিটি মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এটা অত্যাবশ্যক। আমরা যেসব সহিংসতা দেখেছি তাতে অবশ্যই উদ্বিগ্ন মহাসচিব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)