দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে গেলেন রসুলপুরের আজিজুল হক
নিজস্ব প্রতিনিধি:দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী কাজী আজিজুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।গত বুধবার(২৮ জানুয়ারী) সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম এই আদেশ দেন। কাজী আজিজুল হক(২৯) সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর এলাকার কাজী হাসানুল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বের বিবাহ গোপন করে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ১ লক্ষ ১ টাকা কাবিনে সাতক্ষীরা সদরের পারকুখরালী এলাকার মৃত ওয়াদুল সানার মেয়ে সুরাইয়া সুলতানাকে(২৫) বিয়ে করেন কাজী আজিজুল হক। সে সময় কাজী আজিজুল হকের চাহিদামত প্রায় ৫ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র প্রদান করে সুরাইয়া সুলতানার পরিবার। বিবাহের পর স্বামীর বাড়িতে যেয়ে সংসার শুরু করলে সুরাইয়া খাতুনের দিকে কু নজর পড়ে শ্বশুর কাজী হাসানুল হকের। স্বামী কাজী আজিজুল হক বাড়ীতে না থাকার সুযোগে শ্বশুর বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। তবে সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি সুরাইয়া সুলতানা। সুরাইয়া সুলতানাকে ছেলের সাথে সংসার করতে দেবেনা বলে হুমকি দেন শ্বশুর কাজী হাসানুল হক। এরপর শ্বশুর কাজী হাসানুল হক ও শ্বাশুড়ী আমেনা খাতুনের পরামর্শে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে ২০২৩ সালের ২৬ মে সুরাইয়া সুলতানাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ওই ঘটনার পর ওই বছরের ২০ জুন সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে স্বামী আজিজুল হককে আসামী করে মামলা করেন সুরাইয়া সুলতানা। মামলা নং সিআর ৬২৫/২০২৩(সাতঃ)।ওই মামলায় গত বুধবার(২৮ জানুয়ারী) কাজী আজিজুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এ ব্যাপারে ভূক্তভ’গী সুরাইয়া সুলতানা বলেন, প্রথম স্ত্রী রেখে প্রতারণা করে কাজী আজিজুল হক আমাকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ী মিলে যৌতুকসহ নানা কারণে আমাকে অমুনুষিক নির্যাতন করেছেন। আমি চায় আমার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ীর মত মানুষের দ্বারা আমার মত আর কোন নারী নির্যাতনের শিকার না হয়। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের এড. আব্দুল মজিদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।