অবশেষে বদলী হল সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দূর্ণীতিগ্রস্থ প্রকৌশলী জাকির হোসেন

নিজস্ব প্রতিনিধি:অবশেষে জয়পুরহাটে বদলী করা হলো সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডিভিশন-১ এর দূর্ণীতিগ্রস্থ সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাকে জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন উপ বিভাগ-১ এ যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এর আগে গত ৩০ জানুয়ারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ পরিচালক মোঃ খুরশিদ আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই তথ্য জানানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন ১ এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান হওয়া স্বত্তে¡ও তিনি নিয়মিত অফিসেআসতেন না । শ্যামনগর অফিসের পিয়ন খোরশেদ আলম ও জেলা অফিসের কামরুজ্জামানকে দিয়ে সাব ঠিকাদারীসহ যাবতীয় কাজ করাতেন তিনি। নিজে প্রকল্পের কাজের স্থানে না যেয়ে শ্যামনগরের সেকশন অফিসারদের পাঠিয়ে নিজের কাজ গুলো করিয়ে নিতেন জাকির হোসেন। এছাড়া তিনি বেশিরভাগ সময়ে ঢাকা অথবা খুলনায় সময় কাটাতেন। তিনি নিজে টেন্ডার কমিটির সদস্য হয়েও কম্পিউটার না জানার কারণে টেন্ডারের কাজ করতেন না। টেন্ডারসহ প্রকল্পের যাবতীয় কাজ তিনি বাইরের কম্পিউটারের দোকান বা অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে দায়সারাভাবে কোন রকম চালিয়ে যেতেন।
আরো জানা যায়, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন এর এর দূর্ণতিগ্রস্থ সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের থাকাকালীন সময়ে প্রকৌশলী জাকির হোসেন জড়িয়ে পড়েন সীমাহীন দূর্ণীতি ও অনিয়মের সাথে। জাতীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাকে সরেজমিনে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি প্রোগ্রামে যেতেননা। প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ নানা বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রেখে তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার কথা থাকলেও তিনি তা করতেননা। শ্যামনগর এলাকার বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের ডিপিএম করাতেন নিজে ঠিকাদার সেজে বা তার মনঃপুত সাব ঠিকাদার দিয়ে। ফলে ওই সব প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা তিনি গায়েব করে ইতিমধ্যে খুলনা ও ঢাকা শহরে জমি ও একাধিক প্লট কিনেছেন। এছাড়া নামে ও বেনামে তিনি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। এর আগে তিনি বাগেরহাট থাকাকালীন সময়ে নানা দূর্ণীতে জড়িয়ে পড়েন । শ্রামনগরে গাবুরা ইউনিয়নের মানুষের বাঁধভাঙন থেকে রক্ষা করতে স্থায়ীবাঁধ নির্মাণ, খাল খনন, সুইচগেট নির্মাণসহ নানা কাজের জন্য ১ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের ১ অক্টোবর শুরুর কথা থাকলেও কম্পিউটারে অজ্ঞ, অদক্ষ, দূর্ণতিগ্রস্থ প্রকৌশলী জাকির হোসেনের গাফিলতি ও কর্মদক্ষতার অভাবে ওই কাজ শুরু হয়েছে ২০২২ সালের নভেম্বরে। তার কম্পিউটার জ্ঞান না থাকার কারণে প্রকল্পের স্টিমেট, অগ্রগতি সম্পর্কে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় প্রকল্পের ধীরগতি হচ্ছিল। এছাড়া ওই মেগা প্রকল্পের ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে কোটি টাকা নিজের পকেটে ভরার উদ্দেশ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ওই প্রকল্পের তদারকির দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)