কালিগঞ্জে দিন দুপুরে সরকারি খালে মাটি ভরাট ও গাছ কর্তন
হাফিজুর রহমান :- কালিগঞ্জ-শ্যামনগর সড়কের পাশে গাছ কর্তন ও সরকারি খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে সুশীলন নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। উপজেলা সদরে প্রকাশ্যে ফিল্মী স্টাইলে কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের পাশ্ববর্তী খালে ৭/৮ টি ডাম্পার ও একটি ভেকু দ্বারা মাটি ভরাটের মাধ্যমে দখল কার্যক্রম চালালেও প্রশাসন ছিল নির্বিকার। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সরকারি খাল ভরাট গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে পারেন গণমাধ্যম কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে এক গণমাধ্যম কর্মী গাছ কর্তন ও সরকারি ভরাটের বিষয়টি মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশকে অবগত করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, সব বিষয় দেখার দায়িত্ব ইউএনওর না। আপনি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এধরণের বক্তব্যে গণমাধ্যম কর্মীরা বিস্মিত হন। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে জানালে তিনি সরকারি দখল বন্ধ করার জন্য গ্রামপুলিশ হাফিজুর রহমানকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু ভরাট কাজ বন্ধ হবে না বলে গ্রামপুলিশকে জানিয়ে দেন সুশীলন এর পরিচালক আক্তারুজ্জামান পল্টু। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জরুরি উদ্যোগ নিয়ে খাল দখল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এর আগেই খালটির বেশ কিছু অংশ ভরাট ও একটি মাঝারী আকৃতির নীম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে সরেজমিন দেখা গেছে। এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করার বিষয় নিয়ে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছে টাকা ও ক্ষমতা থাকলে চলাচলের প্রধান সড়ক ও দখল করে নেওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে সুশীলনের পরিচালক আক্তারুজ্জামান পল্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওই জায়গা বন্দোবস্তের জন্য সাতক্ষীরা অফিসে আবেদন করা হয়েছে। বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে সরকারি জায়গা দখল করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি।