মিরপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ
ডেস্ক রিপোট:কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ সময় মিছিল থেকে পথচারীসহ ৫ জনকে আটক করার অভিযোগ করেছে জামায়াত।রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগরী উত্তর অয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে এ কর্মসূচি করে জামায়াত।বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনা ভোটের সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করবে।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে টেকনিক্যাল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার, ছাত্রনেতা সালাহউদ্দীন ও আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ। প্রহসন ও ডামি নির্বাচনের কোনো কোনো প্রার্থী দাবি করেছেন তারা ভারতের প্রার্থী। তাই এই সংসদ ও সরকার কোনোভাবেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। সরকার জনতার ওপর পুলিশ লেলিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু নির্যাতন করে; গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। রাজপথের আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি দলের লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের বাজার মূল্য পরিস্থিতি সকল শ্রেণির মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকার নিজেদের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আহজারুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখেছে। কিন্তু এসব করে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না।