তালায় জমি নিয়ে বিরোধ:আদালতে মামলা দায়ের
সাতক্ষীরা তালার হরিহরনগরে জায়গা জমি বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে পাঁচ জানুয়ারিতে। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রুহুল কুদ্দুস ও ফাইমা বেগম। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ০৫ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন কেরামত আলীর কন্যা জেসমিন আক্তার। যার মামলা নং- p-৬/২৪ ও ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩০৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩৭৯/
মামলার আসামীরা হলেন, মোঃ আশরাফ সরদার ও তার পুত্র জুনায়েদ বাবু, কন্যা জেবুননাহার, আয়শা খাতুন, আবুল সরদারের পুত্র শাহিনুর সরদার ও কন্যা নুর নাহার।
মামলার বিবরণে জানাযায়, আসামীগন পরস্পর লোভী, লাঠিয়াল, গুণ্ডা, সন্ত্রাসী আইন অমান্যকারী ব্যক্তিবর্গ হইতেছে। অপারপক্ষে বাদিনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইতেছে। আসামিদের সহিত বাদিনীর পিতা এবং ভাইয়ের দীর্ঘদিন ধরিয়া জায়গা জমি নিয়ে চলিয়া আসিতেছে। ইতিপূর্বে ১নং আসানী আমার পিতার মৎস্য ঘেরে বিশ প্রয়োগ করিয়া মৎস্য নিধন করিয়া ফেলে এবং আমার পিতার ডিব টিউবওয়েল নষ্ট করিয়া দেয়।
অতঃপর ঘটনার তারিখ সময় ও স্থানে ৪,৫,৬,৭ ও ৮ নং সাক্ষী আমার বাবা ও ভাই এবং বোনেরা আমাদের জমিতে আইল বাধাই করা ও আগাছা পরিষ্কারের কাজ করিতে থাকা কালে সকল আসামীগণ একযোগে হাতে দা লোহার রড হাতুড়ী চাইনিজ কুড়াল বাশের লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র সঙ্গ নিয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া স্বাক্ষীদের কাজ বন্ধ সৃষ্টি করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আসামীদের কাথায় প্রতিবাদ করায় সকল অনামীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া ২নং আসামীর হুকুমে ১ নং আসামী তাহার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে ৫নং দাঁর মাথার মাঝ বরাবরে কোপ মারে উক্ত কোপে ৫ নং স্বাক্ষীর মাথার হাড় কেটে ঘেনু বাহির হইয়া যায় ৫নং সাক্ষী মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে ২নং আসামী তাহার হত্যা নিশ্চিত করিবার জন্য গলার উপরে পা নিয়া শ্বাস রোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। ৭ নং স্বাক্ষী ঠেকাইতে গেলে ৩ নং আসামী হত্যার উদ্দেশ্যে ৭নং স্বাক্ষীর মাথায় স্বজোরে লোহার রড দিয়া আঘাত করিলে সে মাথা সামান্য সরাইলে উক্ত আঘাত কাধে লাগিয়া কলার বন্ড ভাঙ্গিয়া যায়। ৬ নং স্বাক্ষী ঠেকাইতে গেলে ৫ ও ৬ নং আসামী তাহার চুলের মুঠি ধরিয়া মাটিতে ফেলাইয়া হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় শাড়ি পেচাইয়া শ্বাস রোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। ৪ নং স্বাক্ষী ঠেকাইতে গেলে ১ ও ২ নং আসামী তাহাকে লোহার রড ও হাতুড়ী দিয়া বেধড়ক পিটাইয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুত্বর জখম করে। ৮নং স্বাক্ষী ঠেকাইতে গেলে ৩ ৫.৪ নং আসামী তাহাকে চড় কিল ঘুষি লাথি মারিয়া ফোলা কালশিরা জখম করে। অতঃপর ১নং আসামী ৭ নং স্বাক্ষীর কোলে থাকা ২ বৎসর বয়েসী শিশু বাচ্চাকে ছিনাইয়া লইয়া পানিতে ফেলাইয়া দেয় ১নং আসামী ৭নং স্বাক্ষীর চূড় কিল ঘুষি মারে ও অসৎ উদ্দেশ্যে তার পরনের শাড়ী খুলিয়া বিবস্ত করিয়া ফেলে। ৩নং আসামী ৬ নং স্বাক্ষীর গলায় এক ১ জরি ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ৮৬০০০/- টাকা ছিড়িয়া লইয়া আতাসাগ করে। ৫নং আসামী ৮নং স্বাক্ষীরায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন মুতা ৫০,০০০/- টাকা হিড়িয়া লইয়া আত্মসাৎ করে ১নং আসামী ৪নং স্বাক্ষীর কাছে থাকা এন্ডোরাইট মোবাইল সেট মূল্য ১৭,০০০/- টাকা কাড়িয়া লইয়া আত্মসাৎ করে। একপর্যায়ে অন্যান্য স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে আসিতে দেখিয়া আসামীগণ তাহাদের হাতে থাকা অস্ত্র উচাইয়া ব্রাশ সৃষ্টি করিতে করিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এবং যাওয়ার সময় এই মর্মে ভীতি প্রদর্শন করে যে এই বিষয় লইয়া মামলা মোকদ্দমা অথবা কোন প্রকার কোন নাফিল্ম করিলে তোদেরকে মারিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবো। অতঃপর সাক্ষীরা ভ্যান যোগে ভিকটিম ৫.৬.৭.৮ নং স্বাক্ষীকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমান ৫ নং স্বাক্ষী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। উক্ত বিহয় লইয়া তালা থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী আসামীদের দৌরত্বের কারণে মামলা গ্রহন না করিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা করিবার পরামর্শ দেয়। বর্ণিত ঘটনার স্বাক্ষী আছে। তাহার স্বাক্ষী দিয়া ঘটনা প্রমাণ করিবে। আরজ ইতি তাং-০৯/১/২০২৩ইং।