ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন—– যুক্তরাষ্ট্র
ডেস্ক রিপোট:আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে ইহুদি রাষ্ট্রটির প্রতি তার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।শুক্রবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আইসিজে-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই বেসামরিক ক্ষতি কমাতে, মানবিক সহায়তা প্রবাহ বাড়াতে সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে হবে।এক বিবৃতিতে মুখপাত্র আরো বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি গাজায় গণহত্যার অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং এটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য যে আদালত গণহত্যা সম্পর্কে কোনও অনুসন্ধান করেনি বা তার রায়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়নি। তবে হামাসের হাতে বন্দী সমস্ত জিম্মিকে নিঃশর্ত ও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আদালত।
তিনি আরো বলেন, আদালতের রায়টি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলের ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার রয়েছে।মামলার অগ্রগতির সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্র আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধায় রায় ঘোষণা করে আইসিজে।রায়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে দখলদার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গণহত্যা করবে না। ইসরায়েলকে এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। একইসঙ্গে গণহত্যা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।
আইসিজে’র বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি বিচারক জোয়ান ই ডনোগু রায় পড়ে শোনান। তিনি বলেন, এই রায় ইসরায়েলের জন্য আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে।
বিচারক ডনোগু আরও বলেছেন, আদালত নোট করেছে , ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে প্রচুর সংখ্যক মৃত্যু এবং আহত হয়েছে, সেইসঙ্গে ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ গণহত্যা কনভেনশনের বিধানের মধ্যে পড়ে। গণহত্যা মামলায় যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।
ডনোগু বলেন, জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে ফিলিস্তিনিরা সুরক্ষিত গোষ্ঠী। আদালত ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।