ঢাকায় ইসলামী আন্দোলন বিক্ষোভ করবে
ডেস্ক রিপোট:দেশের নতুন শিক্ষা কারিকুলামে ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা হয়েছে। তাই বিতর্কিত এই কারিকুলাম পরিবর্তনের দাবিতে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বাদ জুমা ঢাকার বায়তুল মোকারমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে নতুন কারিকুলামে অসঙ্গতি দূরীকরণ, পাঠ্যপুস্তক সংশোধন, মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খান, সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক মুহাম্মদ আব্দুস সবুর।এ ছাড়া সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সচেতন অভিভাবক সমাজের সভাপতি মুসলিম বিন হাই, ট্রান্সজেন্ডার গবেষক রাখাল রাহা, মুফতি আমির হুসাইন, মাওলানা জাকারিয়া আহমদ, মুহাম্মদ মহসিন ভুইয়া, মাওলানা রুহুল আমীন।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্পে শরীফ আহমেদ একজন ছেলে এবং তার সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনুযায়ী সে একজন ছেলে। কিন্তু সে মনে করে, সে একজন মেয়ে। তাই তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে শরীফা। এখানে স্বীকার করা হয়েছে যে, শরীফ আহমেদের শারীরিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধুমাত্র মানসিকভাবে মনে করে সে একজন মেয়ে। এভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিকৃত যৌনাচারের দিকে ঠেলে দেওয়ার দূরভিসন্ধি রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, লেকচারার আসিফ মাহতাবকে শিক্ষকতার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বাধীনভাবে একটি দেশের সংবিধান বিরোধী ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই পারে। সামাজিক, ধর্মীয় ও মানবতাবিরোধী বিষয়ে কথা বলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিক্ষক সমাজের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। অনতিবিলম্বে তাকে স্বপদে বহাল করার পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খান বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে শিক্ষার অসারতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় তাকে চাকুরীচ্যুত করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। এতে করে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষের দৈন্যতা প্রমাণিত হয়েছে, তারা সমকামিতাকে এদেশে প্রমোট করছে। তিনি আসিফ মাহতাবকে পুনর্বহালের দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, শিক্ষাকে আদর্শবিহীন করার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান শিক্ষা থেকেও ছাত্রদের দূরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষা কারিকুলাম বাদ দিতে হবে এবং দেশের অধিকাংশ মানুষের চিন্তাচেতনার আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা সিলেবাস থেকে ঢোল-তবলা, বাঁশির ছবি প্রত্যাহারের দাবি জানান।