ক্যানসারের গবেষণায় মানবেদেহে মিলবে প্রতিষেধক
ডেস্ক রিপোট:মরণঘাতী রোগ হিসেবে পরিচিত ক্যানসার। একদিকে চিকিৎসা ব্যয়বহুল আর অন্যদিকে অনিশ্চিত হওয়ার ফলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের একরকম বাঁচার আশা শেষ হয়ে যায়। তবে এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। এতে করে ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন দুয়ার খুলতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। মানবদেহে মিলবে এ রোগের প্রতিষেধক। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের গবেষকরা এ তথ্য জানানো হয়েছে।গবেষকরা জানিয়েছেন, মানবদেহে ক্যানসার নির্মূলের জন্য সহায়ক একটি ইমিউন কোষের সন্ধান মিলেছে। এটি করোনার জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ কোষকেও নিরাময়ের জন্য সহায়ক হবে। হিউম্যান টাইপ-২ ইনন্যাট লাইমফোইড সেলস (আইএলসি২এস) নামের কোষটি এসব রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। এটি ইঁদুরেরর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে এসেছেন। ইঁদুরের আইএলসি২এস কোষ নিয়ে এর আগেও এ ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তবে নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কোষটি ক্যানসার নিরাময়ে কাজ করছে।সিটি অব হোপের হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের প্রফেসর জিয়ানহুয়া ইউ এ জানান, নতুন করে আবিষ্কার করা ইমিউনো কোষ আইএলসি২ ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম। এটি ব্লাড ক্যানসার ও সোলিড টিউমারের জন্য অত্যান্ত কার্যকরী।
চিকিৎসা নিয়ে আরও আশার বাণী দিয়েছেন প্রফেসর ইউ। তিনি বলেন, আইএলসি২ কোষটি রোগীর শরীর থেকে নিতে হবে না। এটি সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে নেওয়া এবং সংরক্ষণ করা যাবে।
একই বিভাগের অপর গবেষক প্রফেসর মাইকেল ক্যালিজিউরি বলেন, আইএলসি২এস কোষ মানুবদেহে অত্যান্ত বিরল। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুসফুস, নাড়িভুঁড়ি ও ত্বকে পাওয়া যায়।
যুগান্তকারী এ গবেষণায় এ দুই গবেষক ছাড়াও ঝেনলং লি, রুই মা ও হেজুন ট্যাং নামের আরও দুজন কাজ করেছেন। এ ছাড়া পিএইপডি গবেষক ডেভিড আর্টিস, ইউমিউনোলজির প্রফেসর মাইকেল কর্স এবং জিল রবার্টস ইনস্টিটিউট ফর ইনফ্ল্যামেটরির বাওয়েল ডিজিজ ও মেডিসিন গবেষণা পরিচালক ওয়েইল কর্নেলও এ গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এবং লিউকেমিয়া অ্যান্ড লিম্ফোমা সোসাইটির সমর্থনে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।