প্রেমিককে ফিরে পেতে কালোজাদু, তরুণী খোয়ালেন ১১ লাখ টাকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কালোজাদুর মাধ্যমে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ফেরতে জ্যোতিষীর আশ্রয় নেয় এক তরুণী। সুযোগ পেয়ে জ্যোতিষী শুরু করলেন প্রতারণা। হাতিয়ে নিলেন ৮ লাখ ২০ হাজার রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।
ভারতের বেঙ্গালুরুর জালাহাল্লি এলাকায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে। ২৫ বছর বয়সী ঐ তরুণী স্থানীয় থানায় জ্যোতিষী এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার ভারতীয় স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আব্দুল নামে এক জ্যোতিষীর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। নিয়মিত জ্যোতিষচর্চা করেন এমনটাই তরুণীকে জানিয়েছিলেন আব্দুল। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে কীভাবে ফের সম্পর্ক জোড়া দেয়া যায় তা নিয়ে আব্দুলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তরুণী।
তরুণীর দাবি, তার সাবেক প্রেমিকের পরিবারের তরফে যেন তাদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও আপত্তি না জানানো হয়, সেজন্য তরুণীকে একটি বিশেষ আচার পালনের পরামর্শ দেন আব্দুল। পরামর্শ ফি বাবদ ৫০১ রুপি নিয়েছিলেন জ্যোতিষী। ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পর তরুণীর ছবিসহ তার সঙ্গে সাবেক প্রেমিকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও চান আব্দুল। এমনকি পরিবারের সদস্য এবং তার সব বন্ধুবান্ধবের ছবিও আব্দুল চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তরুণী।
বিশেষ আচার পালন শেষে ‘কালোজাদু’ও করতে বলেন আব্দুল। সে কারণে দুই লাখ ৪০ হাজার রুপি তরুণীর কাছে ফি বা পারিশ্রমিক হিসেবে চেয়েছিলেন তিনি। জ্যোতিষীর কথামতো নির্দিষ্ট ফিও দিয়েছিলেন তরুণী। তারপর আবার প্রায় দেড় লাখ রুপি তরুণীর কাছে চান আব্দুল। বারবার এত অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে হুমকি দিতে শুরু করেন তিনি।
তরুণীর অভিযোগ, সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তার পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে দেবেন বলে আব্দুল তাকে হুমকি দিতে থাকেন। এবার তরুণীর কাছ থেকে আরো চার লাখ ১০ হাজার রুপি চান। মোট ৮ লাখ ২০ হাজার রুপি আব্দুলকে দিয়েছিলেন তরুণী।
উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আব্দুল এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তদন্ত চালিয়ে আব্দুল এবং তার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তরুণী নানা রকম আচার-অনুষ্ঠান পালন করার জন্য জোর করতেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন আব্দুল।
এদিকে যে অর্থ তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন, তা পুরোটাই তরুণীকে ফিরিয়ে দেবেন বলেও পুলিশকে প্রতিশ্রুতি দেন আব্দুল।