যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ তুষারঝড় ও শৈত্যপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ তুষারঝড় ও শৈত্যপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।

প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় টেনেসি অঙ্গরাজ্যে। সেখানে আবহাওয়া সম্পর্কিত কারণে অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এছাড়া ওরেগনে মারা গেছেন ১৬ জন। তীব্র তুষারপাতের কারণে রাজ্যটি এখনো জরুরি অবস্থার আওতায় রয়েছে।

বিরূপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আবহাওয়া সম্পর্কিত কারণে মোট ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। টেনেসি, ওরেগনের পাশাপাশি মিসিসিপি, ইলিনয়, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন, কেন্টাকি, উইসকনসিন, নিউইয়র্ক, নিউ জার্সির থেকেও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

মিসিসিপিতে তীব্র তুষারপাতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ‘কালো বরফ’ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে গাড়িচালকদের। রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে পৌঁছেছে।

তীব্র ঠান্ডার কারণে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে টেনেসিতে। রাজ্যটিতে চার লাখ মানুষকে পান করা, দাঁত ব্রাশ করা ও খাবার রান্নার জন্য ‘ফোটানো পানি’ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ট্যাপের পানি গোসলের জন্য নিরাপদ, তবে সেটি মুখে না নেওয়াই ভালো।

বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুতের সমস্যা এরই মধ্যে সমাধান করা হয়েছে। তবে রোববার রাত পর্যন্ত ওরেগনে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ অন্ধকারে ছিলেন। লোডশেডিংয়ের খবর এসেছে পেনসিলভানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ মেক্সিকো এবং ইন্ডিয়ানা থেকেও।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস সোমবার আরকানসাস এবং ওকলাহোমার কিছু অংশে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে। এদিন পর্যন্ত দেশটির বড় অংশে গাড়ি চালানোর পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)