সাতক্ষীরায় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ,হাসপাতালে গাদাগাদি
রঘুনাথ খাঁ:
সাতক্ষীরায় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা কোল্ড ডায়রিয়া,জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে রোগীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাতক্ষীরায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে রোদের দেখা মিলছেনা। ফলে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। এতে শিশুদের শীতজনিত রোগ বাড়ছে। চিকিৎসার জন্য তাদেরকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অভিভাবকরা।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি শিশু ভর্তি হচ্ছে। আর আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ৪০টিরও বেশি শিশু। আর সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০টি শিশু। আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে অর্ধশতাধিক শিশু।
তবে বেড সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
পাটকেলঘাটা থেকে শিশুপুত্রকে নিয়ে আসা আব্দুল মান্নান জানান, তার ছেলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় তিনি রোববার সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তবে চিকিৎসা কোনমতে চললেও এখনো পর্যন্ত বেড পাননি তিনি। ঠা-ায় মেঝেতে বিছানা বিছাতে হয়েছে তার।
আশাশুনি থেকে শিশুকন্যাকে নিয়ে আসা মালতি রায় বলেন,শ্বসসকষ্ট হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু হাসপাতালে খাবার সংকট পর্যাপ্ত। পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা থাকায় তারা এখানে নিরাপদ ভাবছেননা। চিকিৎসা কম-বেশি হলেও অন্যান্য অব্যবস্থাপনার কারণে তারা খুবই ক্ষুব্ধ।
তবে এসব অভিযোগের আংশিক সত্য বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার।
তিনি বলেন,সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা মাত্র ১০টি। গাদাগাদি করে কিছু বেড যোগ করে হয়েছে ১৫টি। কিন্তু এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩৮টি শিশু। তাহলে তাদের বেড দেওয়া কিভাবে সম্ভব।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন আবু সুফিয়ান রুস্তম বলেন, রোগ প্রতিরোধে শিশুদের ঠান্ডা না লাগানো ও খাওয়ার আগে হাত ধোঁয়ার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। অভিভাবকরা সচেতন হলে শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হবেনা।