ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
ডেস্ক রিপোট : দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) জোটের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
বিবৃতিতে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময়ে আকস্মিক ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে নিয়ে যায়, তখন সরকার লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নেয়। তাতে সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে গেলে পুরো ব্যবস্থারই পরিবর্তন করতে হবে। মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের অর্থনীতি বহাল রেখে এই অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না।
বিবৃতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছুটা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সিন্ডিকেট ভাঙা, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা, সারা দেশে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, সারা দেশে রেশনিং এবং পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি জানানো হয়।বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় সম্পর্কে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বক্তব্য তুলে ধরতে আগামী ১৮ জানুয়ারি পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স এক বিবৃতিতে চালসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বাজারের ওপর মুনাফাশিকারি লুটেরাদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ খর্ব না করা গেলে এবংঅবাদ খোলাবাজার অর্থনীতির দর্শন্ ও মার্কেট ফান্ডামেন্টালিজম এর নীতি থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, এরপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য, বিশেষত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের জন্য স্থায়ী রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এই দরিদ্র মানুষদের জন্য রেশনে কন্ট্রোল দামে চাল, গম, তেল, ডাল, চিনি এবং প্রয়োজনমতো অন্যান্য অত্যাবশক পণ্য সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রদান করাসহ পর্যায়ক্রমে পণ্যের সংখ্য বাড়াতে হবে।