নকিপুর বাজারে খুঁড়ে রাখার রাস্তার কাজের অগ্রগতি নেই, চলাচলের ভোগান্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকিপুর বাজারের মধ্যভাগ দিয়ে নির্মিত সড়ক। প্রশস্থকরণ কাজের অংশ হিসেবে দুইপাশ খুঁড়ে ইটের টুকরা ফেলে রাখা হলেও রোলিংসহ অন্যান্য কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। রাস্তার দুইপাশ খুঁড়ে রাখার কারণে চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী বিভাগের তত্তাবধানে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার হায়বাতপুর থেকে হাঁটচালা পর্যন্ত দুই ভাগে এক হাজার ৭৬০ মিটার সড়ক প্রশস্থ এবং রক্ষনা- বেক্ষনের কাজ শুরু হয়। জাহাকা উল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় মোল্যা ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠান প্রায় ১২ লাখ টাকা কমে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় নকিপুর এইচসি সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস পর্যন্ত ওয়াইডিং (প্রশস্থ) এবং চন্ডিপুর থেকে বিএম টেকনিক্যাল কলেজ পর্যন্ত মেইনটেন্যান্স (রক্ষনাবেক্ষন) কাজ শুরু হয় আগষ্ট মাসে। দীর্ঘ সময় যাবৎ ব্যস্ততম সড়কের দুইপাশ খুঁড়ে ইটের খোয়া ফেলে রাখায় চলাচলরত স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
নকিপুর এইচসি সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্র রুদ্র মিস্ত্রি জানায়, রাস্তার দুইপাশ খুঁড়ে ইটের টুকরা ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় জ্যামে আটকে থাকতে হচ্ছে। এমনকি সাইকেলযোগে যাতায়াতকারী অনেক শিক্ষার্থী ইটের খোয়ার উপর পড়ে আহত হচ্ছে।
নকিপুর বাজারে সবজী কিনতে আসা গৃহবধূ মোমেনা বেগম বলেন, নকিপুর এমন একটি জায়গা যেখানে স্কুল-কলেজ, বাজার, মসজিদ ও পৌরসভা হওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচল বেশী। খুড়ে রাখা এই সড়কটি নকিপুর বাজারের প্রধান সড়ক। এ সড়কটি দীর্ঘ সময় ধরে খুঁড়ে রাখার বেশ ভীড় থাকে সবসময়। অনেক মানুষজন ঠেলে বাজারে ঢুকতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝমধ্যে ভারী যানবাহন ঢুকে পড়ায় দীর্ঘ যানজট হয়।
নকিপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটা অনেক দিন খুড়ে রেখেছে। দ্রুত কাজ শেষ না হলে বেচাকেনা করতে অনেক সমস্যা তো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নুরুল হক মোল্যা জানান, প্রকৌশলী সাহেব কিছুদিন কাজ আটকে রেখেছিল। রোলারের অপেক্ষায় দেরি হয়েছে। দ্রুতই গোটা সড়ক খুঁড়ে একসঙ্গে রোলিং করা হবে।
শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, প্রশস্থকরণ অংশে কমপ্যাক এবং কিছু কাজে অসংগতিসহ রোলার না থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। তবে রোলার এসে গেছে। দুই একদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।