যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুঃসংবাদ পেল তাইওয়ান
ডেস্ক রিপোট : শনিবার তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট শেষ হলেও দেশজুড়ে এখনো নির্বাচনী আমেজ রয়ে গেছে। নির্বাচনে চীনবিরোধী প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে জনগণ। এ নিয়ে তাইওয়ানজুড়ে যখন উৎসবের সাজ তখনই অন্যতম প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে এলো দুঃসংবাদ। খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এরপর ভোট গণনা শেষে রাতের দিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।
১৯৭৯ সালে তাইপের পরিবর্তে বেইজিংকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না করার কথা জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। তবে প্রকাশ্যে এমন কথা বললেও স্ব-শাসিত দ্বীপটির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী তারা।
অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। এক সময় চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একে যুক্ত করার কথা জানিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়েনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে চীন।
এ কারণে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ভোটের আগে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই নির্বাচনের ফল চীনের সঙ্গে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এবং সারা বিশ্বের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।