শ্রীউলায় মারপিট ঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আটক ১
জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলায় জমিজমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে মারপিট করে ঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করেছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষকে মারপিট করে ঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের এ ঘটনার নেতৃত্ব বা হুকুম দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব উদ্দীন সরদারের ছেলে গাজীপুর কুড়িকাহনীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর সরদার এর বিরুদ্ধে। এজাহারকারী একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে মোস্তাক গাজী বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অধ্যক্ষ মিজানুর সরদারের নেতৃত্বে ঘটনার দিন ২৫-৩০ ব্যক্তি মোস্তাকের বসবাড়িতে ঢুকে ঘরবাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। বাঁধা দিতে গেলে সংঘবদ্ধ লাঠিয়ালেরা মোস্তাকের পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে। যাবার সময় তারা মোস্তাকের ভাই আশরাফুল ও মায়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। এতে দুটি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
এদিকে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দিপংকর বাছাড় দীপু জানান, মাদ্রাসার বেদখলীয় জমিজমা উদ্ধার কেন্দ্রিক এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে শুনেছি। থানায় অভিযোগকারী মোস্তাকের নিজের ভাই খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর নিয়ে খাসজমির সাথে মাদ্রাসার ১ বিঘা জমি চাষাবাদ করলেও হারীর টাকা দিতো না বলে শুনেছি। ২০২২ সালে গাজীপুর গ্রামের মৃত বসির উদ্দীনের ছেলে মুকুল গাজী উক্ত খাস জমি ইজারা নিয়ে এলে মাদ্রাসার জমিও তাকে ডীড দেওয়া হয়। এতে ইব্রাহিম খলিলের সাথে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের মতবিরোধ হয়। সুষ্ঠ তদন্ত হলে অগ্নিসংযোগের ঘটনার আসল কাহিনী বের হয়ে আসবে মনে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মিজানুর সরদারের (০১৭১৭২৫০১৩০) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজীৎ কুমার অধিকারী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ জনকে আসামী ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ৮(১)২৪ নং মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় রবিউল সরদার নামে একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, অচিরেই আসল ঘটনা জানা যাবে।
Please follow and like us: