শ্যামনগরের কৈখালিতে ধান চাষের জন্য চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে দিলো জমির মালিকেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ বছরের জন্য ধান চাষের ইজারা নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ করার প্রতিবাদে ৫০ জন জমির মালিক চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের জয়াখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শ্যামনগরের জয়াখালি গ্রামের শমসের গাজীর ছেলে আব্দুল করিম, গহর গাজীর ছেলে মুনছুর গাজী, আব্দুল মজিদ গাজী, আব্দুল হামিদ মোল্লার ছেলে তাহাজ্জেদ মোল্লা, সমছের গাজীর চেলে আব্দুর রহিমসহ কয়েকজন জানান, আজ থেকে ২০ বছর আগে তাদেরসহ এলাকার ৫০ জনের ও বেশি জমির মালিকের কাছ থেকে দেড় শতাধিক একর জমি ধান চাষ করার জন্য ৫ বছরের ইজারা নেন উপজেলার সমসের ঢালী। মেয়াদ শেষ হলেও শ্যামনগরের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও নেতার সহযোগিতায় ভয়ভীতি দেখিয়ে এখনো পর্যন্ত ওই জমি দখলে রেখে নতুন করে চিংড়ি চাষের জন্য গত ডিসেম্বরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নদীর বাঁধ ছিদ্র করে, সিএÐবি রাস্তার নীচ দিয়ে ছিদ্র করে বাক্স কল বসিয়ে অবৈধভাবে জমিতে পানি তুলে বাগদার রেনু ছেড়েছেন। রাস্তার নীচ দিয়ে ছিদ্র করে পানি তুলে তোলায় সেখানকার রাস্তা খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে নদীর বেড়িবাঁধ। লোনা পানির প্রভাবে ওইসব চিংড়ি ঘেরের পাশের জমিতেও ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জমির মালিকরা।
জমির মালিকরা আরো বলেন, লোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষের ফলে জয়াখালি এলাকার সুপেয় পানির আঁধার নষ্টের পাশাপাশি ধান ও সবজি ফসল হওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে সবুজ বেষ্টনী। তাই প্রভাবশালিী সমসের ঢালীর কাছ থেকে জমি ফিরিয়ে নিয়ে ধান চাষ করার লক্ষে তারা আজ ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে দিচ্ছেন।
তবে এ ব্যাপারে সমসের ঢালী বলেন, যারা একদিন চিংড়ি চাষের জন্য জমি লিজ দিয়েছিলেন এখন তারা ধান চাষী সেজেছেন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তার কাছের মানুষ হিসেবে এক জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর মদতে ওইসব জমির মালিকরা তার ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে দিয়েছে।