পরিক্ষায় প্রথম হয়েও চাকরি পেলেন না মোক্তার
আরাফাত আলী:সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকরির পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন এক প্রার্থী। গত ১৫ ডিসেম্বর কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এই পরীক্ষায় নিরাপত্তা প্রহরী পদে প্রথম স্থান অধিকার করেন মোক্তার হোসেন। এতেই বাঁধে বিপত্তি সভাপতির মনোনীত ২য় স্থান অধিকারী তৈয়বুর রহমান প্রথম স্থান অধিকার না করায় নিয়োগ বোর্ড ভেঙে দেন মাদ্রাসার সভাপতি শেখ শাহাবাজ আলী।
মোক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছি । কিন্তু ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও সভাপতির অনিচ্ছার কারণে মাদ্রাসায় যোগদান করতে পারছিনা।
কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য আইয়ুব আনসারী বলেন, মোক্তার হোসেন পরিক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করলেও সভাপতির বিরোধীতার কারণে তাকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও সভাপতি চাইছেন তার মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে। নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে ২য় স্থান অধিকারী তৈয়বুর রহমানকে নিয়োগের জন্য ডিজির প্রতিনিধিকে চাপ প্রয়োগ করেন। ডিজির প্রতিনিধি ও নিয়োগ বোর্ডের অন্য সদস্যরা তার অনৈতিক চাওয়া পূরণ করতে অস্বীকার করলে নিয়োগ বোর্ড ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করেন মাদ্রাসার সভাপতি। পরবর্তীতে অমিমাংসিত অবস্থায় ডিজির প্রতিনিধি চলে যান।
কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইদ্রিস আলী বলেন, মোক্তার হোসেন প্রথম স্থান অধিকার করলেও নিয়োগ বোর্ড কাউকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেননি। সভাপতি বিরোধীতা করার কারণে ডিজির প্রতিনিধি নিজেদের মধ্যে আপোষ করে নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে জানাতে বলেছেন।
কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ শাহবাজ আলী বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় মোক্তার হোসেন প্রথম স্থান অধিকার করেছে এটা সত্য। তবে ডিজির প্রতিনিধি’র যোগসাজশে সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। নিয়োগ পরীক্ষায় অনেক অনিয়ম করেছেন ডিজির প্রতিনিধি।এজন্য নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। তবে তার মনোনীত প্রার্থী তৈয়বুর রহমানকে নিয়োগে সুপারিশের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকি বিল্লাহ জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় মোক্তার হোসেন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনিহার কারণে নিয়োগ স্থগিত রয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের পরিদর্শক ফেরদৌসী আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালিকাপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার কমিটির মধ্যে নিয়োগ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় কাউকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।