দুই শতাধিক সেনাকে কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়া
ডেস্ক রিপোট: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর দেশটির ২০০ জনের বেশি সেনাকে বিভিন্ন অপরাধে কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়া। কারাদণ্ডের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বোরবার (৩১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। খবর রয়টার্সের।ল্যাভরভ বলেন, বিভিন্ন নৃশংসতামূলক কর্মকাণ্ডের দায়ে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দুই শতাধিক সদস্যকে দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ডে দিয়েছেন রাশিয়ার বিভিন্ন আদালত।২০২২ সালর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক আগ্রাসন শুরু করলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ এনেছে। ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনী কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে জাতিসংঘ। এসব অপরাধের মধ্যে অত্যাচার, ধর্ষণ ও শিশুদের নির্বাসনের ঘটনা রয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসনের অভিযোগ তোলা হয়। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল অ্যান্ড্রি কোস্টিন বলেন, ন্যায়বিচারের পথে এই বছর আমাদের প্রধান সফলতা নিঃসন্দেহে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এটা একটি ঐতিহাসিক রায়। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হলো কোনো মানুষই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।রাশিয়ার মতো ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে