পার্লামেন্ট নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে ইমরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন তার আইনজীবীরা। আপিলে তারা আলোচিত তোশাখানা মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর প্রথম আবেদন করেছিলেন ইমরানের আইনজীবীরা। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে বাতিল করে বলা হয়েছিল, আবেদনটি অসম্পূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক নথি সেখানে নেই।
পরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্বলিত করে মঙ্গলবার ফের সুপ্রিমকোর্টে আবেদনপত্র জমা দেন। এবং পুনরায় রেজিস্ট্রার দপ্তর সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ৫ আগস্ট রায় দেন ইসলামাবাদের সেশন জজ আদালত। রায়ে ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড , ১ লাখ রুপি জরিমানা এবং ৫ বছরের জন্য নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সেই রায় বাতিলের জন্য প্রথমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন ইমরান খানের আইনজীবীরা। কিন্তু গত ২২ ডিসেম্বর এক রায়ে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখেন ইসলামাবাদের হাইকোর্ট।
২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে পাকিস্তানে; কিন্তু আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত আগস্টে ইসলাবাদের সেশন জজ আদালত। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দিয়েছিলেন ইমরান খানের আইনজীবীর; কিন্তু ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার এক শুনানিতে সেই পিটিশন খারিজ করে দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে রায় বাতিলের আবেদনের পাশাপাশি ইসরলামাবাদ হাইকোর্টেও আপিল করেছে ইমরান খানের আইনজীবী দল। সেই আপিলে নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে তারা বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। ইমরান খানের ওপর নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অর্থ— তার মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া।