সাতক্ষীরা সদর আসনে লাঙল প্রতীকের সাথে ঈগল প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির মধ্যে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাদের দাবি, মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তারা লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তবে শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারচুয়াল নির্বাচনী প্রচারনায় কুষ্টিয়ায় ১৪ দলের প্রার্থী জাসদের হাসানুল হক ইনুর নাম উল্লেখ করে তিনি যাতে ডুবে না যান সেকথা বললেও সাতক্ষীরা -২ এ মহাজোট প্রার্থী লাঙল প্রতীকের আশরাফুজ্জামান আশুর পক্ষে কোন কথা না বলে শুধুমাত্র নৌকার তিন প্রার্থীর কথা বলায় জাপার অনেকেই হতাশ হয়েছেন। অপরদিকে উজ্জীবিত হয়েছেন ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-২ আসন গঠিত। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬০৮ জন। এখানে হিজড়া ভোটার রয়েছে তিনটি।জামায়াত অধ্যুষিত সাতক্ষীরায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এর আগে ৯১,৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল জব্বার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু। তবে জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের জনসভায় মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। লাঙ্গল ও ঈগল প্রতীকের বাইরে আরও ৫জন প্রার্থী রয়েছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল জব্বার সাতক্ষীরা-২ আসনে বিজয় লাভ করেন। জাতীয় পার্টি সাতক্ষীরা সদর আসনে শক্তিশালী বলে দাবী করেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু।
তিনি বলেন, ‘‘মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ের শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে তার।’’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘সীমান্ত জেলা হিসেবে ভারত থেকে আগত মুসলিমরা তাকে ভোট দেবেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভোটও আমি পাব। ’’
গত ২১ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠ লেকভিউ-এ আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাদের অন্যতম হলেন,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি আবু আহমেদ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু, যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয়,আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু বলেন,‘‘কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করবে না সাতক্ষীরার মানুষ। বর্তমান সংসদ সদস্য দলীয় নেতা-কর্মীদের জিম্মি করে ফেলেছেন। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’’
সাতক্ষীরা-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির মধ্যে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাদের দাবি, মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তারা লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তবে শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারচুয়াল নির্বাচনী প্রচারনায় কুষ্টিয়ায় ১৪ দলের প্রার্থী জাসদের হাসানুল হক ইনুর নাম উল্লেখ করে তিনি যাতে ডুবে না যান সেকথা বললেও সাতক্ষীরা -২ এ মহাজোট প্রার্থী লাঙল প্রতীকের আশরাফুজ্জামান আশুর পক্ষে কোন কথা না বলে শুধুমাত্র নৌকার তিন প্রার্থীর কথা বলায় জাপার অনেকেই হতাশ হয়েছেন। অপরদিকে উজ্জীবিত হয়েছেন ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-২ আসন গঠিত। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬০৮ জন। এখানে হিজড়া ভোটার রয়েছে তিনটি।জামায়াত অধ্যুষিত সাতক্ষীরায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এর আগে ৯১,৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল জব্বার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু। তবে জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের জনসভায় মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। লাঙ্গল ও ঈগল প্রতীকের বাইরে আরও ৫জন প্রার্থী রয়েছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল জব্বার সাতক্ষীরা-২ আসনে বিজয় লাভ করেন। জাতীয় পার্টি সাতক্ষীরা সদর আসনে শক্তিশালী বলে দাবী করেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু।
তিনি বলেন, ‘‘মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ের শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে তার।’’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘সীমান্ত জেলা হিসেবে ভারত থেকে আগত মুসলিমরা তাকে ভোট দেবেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভোটও আমি পাব। ’’
গত ২১ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠ লেকভিউ-এ আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাদের অন্যতম হলেন,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি আবু আহমেদ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু, যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয়,আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু বলেন,‘‘কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করবে না সাতক্ষীরার মানুষ। বর্তমান সংসদ সদস্য দলীয় নেতা-কর্মীদের জিম্মি করে ফেলেছেন। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’’
তবে সাধারণ ভোটাররা মনে করে,জাতীয় পার্টির সারা বছরজুড়ে কোন রাজনৈতিক তৎপরতা দেখা যায়নি। তারা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন না বলেই চলে। হঠাৎ করে ভোট চাইলেই তো আর ভোট মেলে না। এছাড়া জাপায় ভোট দিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কতটা নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান তারা।
তবে ক্ষেত্রবিশেষে আলোচিত-সমালোচিত হলেও আলাদা একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির। যারা কাজ করে তাদের সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা থাকবে এমনটি মনে করেন অনেক সচেতন ভোটার।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে যোগ দিয়েছেন। উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের কেউ কেউ রয়েছেন তার সাথে। তারপক্ষে যোগ দেওয়া নেতাদের দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার বাধা-নিষেদ না থাকায় তারা জোরালো ভূমিকা রাখছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। এছাড়া অনেকে দলীয় নির্দেশনা মেনে লাঙলের পক্ষে প্রচারনা চালালেও সময়মত দলীয় নেতার পক্ষে কৌশলে ভোট করবেন। যেমন বিগত এক পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আনারসে ভোট চাইতে যেয়ে উঠে যাওয়ার সময় বুক পকেটে থাকা সলেমান চাচার প্রতীক চশমা দেখিয়ে গিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম জাদু বলেন,‘‘ আওয়ামী লীগ,কৃষক লীগ,শ্রমিক লীগের একটি অংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে কাজ করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন করতে যেহেতু বাঁধা নেই, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতেও যেহেতু বাঁধা নেই,তাই আমরা ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছি। ’’
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন,‘‘ সাতক্ষীরা সদরের এমন কোন জায়গা নেই,যেখানে আমি উন্নয়ন বরাদ্দ দেইনি।তাছাড়া তার প্রতিপক্ষ নিজেকে মহাজোটের প্রার্থী দাবি করে নানান আপত্তিকর অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর জবাব জনগন আগামি ৭ জানুয়ারী ব্যালটের মাধ্যমে দেবে
তবে ক্ষেত্রবিশেষে আলোচিত-সমালোচিত হলেও আলাদা একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির। যারা কাজ করে তাদের সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা থাকবে এমনটি মনে করেন অনেক সচেতন ভোটার।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে যোগ দিয়েছেন। উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের কেউ কেউ রয়েছেন তার সাথে। তারপক্ষে যোগ দেওয়া নেতাদের দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার বাধা-নিষেদ না থাকায় তারা জোরালো ভূমিকা রাখছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। এছাড়া অনেকে দলীয় নির্দেশনা মেনে লাঙলের পক্ষে প্রচারনা চালালেও সময়মত দলীয় নেতার পক্ষে কৌশলে ভোট করবেন। যেমন বিগত এক পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আনারসে ভোট চাইতে যেয়ে উঠে যাওয়ার সময় বুক পকেটে থাকা সলেমান চাচার প্রতীক চশমা দেখিয়ে গিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম জাদু বলেন,‘‘ আওয়ামী লীগ,কৃষক লীগ,শ্রমিক লীগের একটি অংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে কাজ করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন করতে যেহেতু বাঁধা নেই, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতেও যেহেতু বাঁধা নেই,তাই আমরা ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছি। ’’
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন,‘‘ সাতক্ষীরা সদরের এমন কোন জায়গা নেই,যেখানে আমি উন্নয়ন বরাদ্দ দেইনি।তাছাড়া তার প্রতিপক্ষ নিজেকে মহাজোটের প্রার্থী দাবি করে নানান আপত্তিকর অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর জবাব জনগন আগামি ৭ জানুয়ারী ব্যালটের মাধ্যমে দেবে
Please follow and like us: