ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের ‘নিউজিল্যান্ড’ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক:
আগেরবার নিউজিল্যান্ড সফরে এসে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সেবার কিউইদের মাটিতে এসেছিল প্রথম টেস্ট জয়। এবার সাদা বলের ক্রিকেটেও প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। তাও অবিশ্বাস্য দাপটের সঙ্গে!

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে এর আগে কখনো ওয়ানডে ফরম্যাটে জেতেনি বাংলাদেশ। সেই আক্ষেপটাই এবার মিটিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে জিতেছে শান্তর দল।

নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানে অল আউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১৫.১ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ।

কিউই ডেরায় তাদের বিপক্ষে ১৮ ওয়ানডে খেলার পর প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সব মিলিয়ে দ্বিতীয়। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে দেশটিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল টাইগাররা।

বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দেখে খেলতে থাকেন এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। দলীয় ১৫ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। বিজয় ও শান্তর ব্যাটে এরপর জয়ের পথেই ছিল দল।

১০ উইকেটে জয়ের খুব কাছেই ছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৮৪ রানে ও’রউর্কের বলে বিজয় আউট হলে সেই সুযোগটা নষ্ট হয়। এ ওপেনার ৩৩ বলে করেন ৩৭ রান। লিটন দাসকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন শান্ত।

অশোকের বলে ২ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। একইসঙ্গে পূরণ করেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তিনি ৫১ ও লিটন ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিউইদের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন উইল ও’রউর্ক।

এর আগে আজ টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। একদম শুরু থেকেই বল হাতে আক্রমণাত্মক ছিলেন প্রত্যেকে। যেখানে শুরুতে আলো ছড়ান তানজিম হাসান সাকিব।

প্রথম স্পেলে ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব। রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলসকে ফেরান তিনি। মাত্র ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় কিউইরা। তৃতীয় উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়েন টম লাথাম ও উইল ইয়ং।

ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন এ দুই ব্যাটার। এমন সময় দ্বিতীয় স্পেলে এসে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন শরিফুল ইসলাম। টানা ৩ ওভারে তিন উইকেট শিকার করেন তিনি। যার শুরুটা হয় ২১ রান করা লাথামকে বোল্ড করার মাধ্যমে।

শরিফুলের বলে মেহেদী মিরাজের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৬ রান করেন উইল ইয়ং। দলের পক্ষে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপর নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে শরিফুলের সঙ্গে যোগ দেন তানজিম হাসান সাকিব।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শেষ দিকে নিজের বোলিং দক্ষতার ঝলক দেখান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার। তিনি একে একে ৩ উইকেট শিকার করেন। কিউইদের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সইম্পন্ন করেন মুস্তাফিজুর রহমান।

তানজিম, শরিফুল ও সৌম্য প্রত্যেকেই আজ সমান তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া এক উইকেট নেন মুস্তাফিজুর। জশ ক্লার্কসন ১৬ ও আদিত্য অশোক ১০ রান করেন। বাকি ৭ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)